না’গঞ্জ শহরের চাষাঢ়া শহীদ মিনারের ফুটপাত বুইট্টা হোসেনের দখলে

0
না’গঞ্জ শহরের চাষাঢ়া শহীদ মিনারের ফুটপাত বুইট্টা হোসেনের দখলে

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নিজস্ব সংবাদদাতা: নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া শহীদ মিনারকে ঘিরে ভ্রাম্যমাণ বিভিন্ন খাবারের দোকানসহ অস্থায়ী পন্যসামগ্রির দোকান বসিয়ে দখল করেছে পুরো ফুটপাত। এতে জনসাধারনের হাটতে হচ্ছে সড়ক দিয়ে। জানা গেছে, শুধুমাত্র শহীদ মিনার এলাকার আশপাশে প্রায় ৬৫ থেকে৮০টি ভ্রাম্যমাণ দোকান রয়েছে।

তবে এসব হকারদের অন্য স্থানের হকারদের মতো দৌড়ঝাঁপ করতে হয় না।কারন পুরো শহীদ মিনার এলাকার প্রতিটি দোকান হোসেন ওরফে বুইট্টা হোসেন নিয়ন্ত্রন করেন। অভিযোগ রয়েছে, শহীদ মিনারের চার পাশের ৬৫ থেকে ৮০ টি দোকান হোসেন ওরফে বুইট্টা হোসেনের নিয়ন্ত্রনে বসে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ফুটপাতে এসব ভ্রাম্যমাণ দোকান প্রতি বিভিন্ন অংকের চাঁদা উঠানো হয়। জানা গেছে, শহীদ মিনারের পিছন দিকের চায়ের দোকানসহ বিভিন্ন ফাস্টফুড জাতীয় খাবার দোকান থেকে দিন প্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা চাঁদা নেয়া হয়।

এছাড়া ছোট-বড় প্রতিটি দোকান থেকে ২শ টাকা থেকে শুরু করে ৩শ’ ৫০ টাকা করে চাঁদা আদায় করেন হোসেন।তাছাড়া রাতে এসব দোকান গুলোতে বিদুৎতের ব্যবস্থা করেও বিভিন্ন অংকের টাকা নেয়া হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হকার জানায়, হোসেনও একজন হকার। তার একটি দোকান রয়েছে। তবে সেই দোকান চালায় তার কর্মচারি। সে সন্ধায় সব দোকানে গিয়ে এই টাকা উঠায়।

শহীদ মিনারের একজন চা-বিক্রেতা বলেন এখানে বসতে অগ্রিম টাকাও দিতে হয়।এইযে লোহার তৈরি গাড়িগুলো দেখছেন এগুলো বসাতে অগ্রিম ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা অগ্রিম দিতে হয়। আর এই টাকা বিভিন্ন ব্যক্তির নামে নেয়া হয়। অনুসন্ধান বলছে, নারায়ণগঞ্জ জেলার একমাত্র কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চাষাঢ়ায় অবস্থিত। তাই সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত জনসাধারনের আনা-গোনা থাকে চোঁখে পরার মতো। ফলে শহীদ মিনারের ভেতর থেকে শুরু করে চারপাশে গরে উঠেছে বিভিন্ন খাবারের দোকান।

এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন পন্য-সামগ্রির ভ্রাম্যমাণ দোকান। ফলে সামনের বঙ্গবন্ধু সড়ক ফুটপাত ও চাষাঢ়া বালুর মাঠের রাস্তা পুরোটাই হকারদের দখলে চলে যায়।এতে এই ফুটপাত দিয়ে চলাচল করা জনসাধারনকে অনেকটা বাধ্য হয়ে হাটতে হচ্ছে পাশের যানবাহন চলাচলের সড়ক দিয়ে। সূত্র বলছে, পুরো শহরের ফুটপাত উচ্ছেদ করা সম্ভব হলেও চাষাঢ়ার ব্যস্ততম সড়কের পাশে অবস্থিত শহীদ মিনারের হকার উচ্ছেদ করতে পারেনি প্রশাসন।

তবে মাঝেমধ্যে লোকদেখানো উচ্ছেদ অভিযান চালায় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ ও সিটি কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে কয়েক ঘন্টার সময়ের ব্যবধানে হকাররা আবারো দখল করে নেয় তাদের নিজ নিজ জায়গা গুলো হকাররা।

Write to Al Amin Ahomed Sentu

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here