প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ পলাতক থাকায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের আইনি লড়াইয়ের কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। তিনি বলেন, আমাদের বিচার ব্যবস্থার যে ইতিহাস, সিআরপিসি প্রচলন থেকে আজ পর্যন্ত কোনো মামলাতেই কেউ আদালতে হাজির না হয়ে কোনো ধরনের সাবমিশন রাখতে পারে না।সোমবার (১০ এপ্রিল) বেলা পৌনে ১২টার দিকে এ তথ্য জানান অ্যাটর্নি জনোরেল।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন রায়ে বিভিন্ন সময়ে একদম স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, পলাতক ব্যক্তির আইনের আশ্রয় লাভের কোনো সুযোগ নেই। তারেক রহমান ও জোবায়দা যেহেতু পলাতক, তারা আদালতে আসেননি। তাই তারা কোনো ধরনের সাবমিশন করার সুযোগ পাবেন না।এর আগে বিদেশ থেকে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য আইনজীবীর মাধ্যমে ঢাকার আদালতে আবেদন করেন তারেক রহমান ও তার স্ত্রী। যার শুনানি আজ সোমবার হয়। গত ২৯ মার্চ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় তারেক ও জোবায়দার রহমানের অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য ছিল।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। এরপর ২০০৮ সালে এই তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
এদিকে মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবায়দা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। তবে এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে রায় দেন হাইকোর্ট।
একইসাথে ওই মামলায় আট সপ্তাহের মধ্যে জোবায়দাকে বিচারিক আদালতে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেয়া হয়।উচ্চ আদালতের এ খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ওই বছরই লিভ টু আপিল করেন জোবায়দা। এরপর প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ লিভ টু আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন।