প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃনিজস্ব সংবাদদাতা: প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলমকে দায়ী করে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ৭নং মোহনপুর ইউনিয়নের উপনির্বাচনে প্রশাসনের প্রভাব বিস্তার, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর হুমকি ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে আ’লীগের মনোনীত নৌকার প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল হাই প্রধান সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) উপজেলার মোহনপুরে বিকেলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি এ অভিযোগ আনেন।
মোহনপুর ইউপি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হুমায়ান কবির হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু,উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সম্পাদক আইয়ুব আলী গাজী,সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম হাওলাদার, মোঃ শাহজাহান প্রধান, আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সদস্য আহসান উল্লাহ হাসান,উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রাদেশ্যাম চন্দ্র সাহা, উপজেলা যুবলীগের সদস্য হাসান মোর্শেদ আহার চৌধুরী, উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি নাইমুল হাসান লাভলু, সাধারণ সম্পাদক শাহিন চৌধুরী,উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক তামজিদ সরকার রিয়াদ, কামরুল হাসান মামুন,ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান কাজল,ছাত্রনেতা এসএম নোমান দেওয়ান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী যা বলেন- প্রিয় সাংবাদিক ভাই বন্ধুগণ, আমার সংগ্রামী সালাম গ্রহণ করবেন। আমি মোঃ আব্দুল হাই প্রধান,মতলব উত্তর উপজেলার ৭নং মোহনপুর ইউনিয়নের উপ-নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছি। নির্বাচন চলাকালীন সময়ে কিছু প্রতিবন্ধকতার কারণে আমার নির্বাচন বিঘ্নিত হয়।
আমাদের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব শামসুল আলম প্রশাসনকে স্বাধীনতার প্রতীক,উন্নয়নের প্রতীক নৌকার বিরুদ্ধে প্রভাবিত করেন। এমনকি আমাকেও নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার হুমকি প্রদান করেন। আমি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নিকট বিচার কামনা করছি এবং নৌকার বিরুদ্ধে অপতৎপরতা কারীদের বিরুদ্ধে মাননয়ি প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার নিকট বিচার কামনা করছি।
আওয়ামীলীগের অনেক নেতাকর্মী আমার নির্বাচন পরিচলনার জন্য অনেক পরিশ্রম ও কষ্ট করেছেন। আমার নির্বাচন করতে যেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্তৃক বিভিন্ন হামলা-মামলার স্বিকার হয়েছে। এমনকি গুলিবিদ্ধও হয়েছেন। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।তিনি আরও বলেন,একটি এই নিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঢকা-নারায়নঞ্জ ও চাঁদপুরের লঞ্চ চলাচালও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
মতলব উত্তর থেকে মোহনপুরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছিলো। পুরো মোহনপুর ইউনিয়নে এক ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেনি। যা নজিরবিহীন। আমি বিশ্বাস করি আজকের আজকেবর এই পরিস্থিতির জন্য মাননয়ি প্রতিমন্ত্রী দায়ী।
আপনারা ভালো থাকবেন। জয় বাংলা,জয় বঙ্গবন্ধু। এর আগে, সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুরের মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদে সকাল সাড়ে ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। কোনো বিরতি ছাড়াই বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ।