প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ খান মোহাম্মদ কামাল ঃ চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯৬তম বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।আজ সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব বেনজীর আহম্মেদ মুন্সীর সভাপতিত্বে এ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভাপতি মোঃ আশরাফুল হাসান প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ও পুরস্কার বিতরণ করেন।বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোঃ আঃ হক খানের সঞ্চালনায় পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি ও ছেংগারচর পৌরসভার প্রশাসক মোঃ এমরান হোসেন খান এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুল কাইয়ুম খান।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন,বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক গোলাম সারোয়ার বিএসসি, মাওলানা কবির আহম্মেদ, মোঃ আয়েত আলী, মোঃ শাহিন মিয়া, নূর মোহাম্মদ, নারর্গিস আক্তার, উম্মে সালমা মল্লিকা, গোলাম মোস্তফা, কানিজ ফাতেমা, মোঃ আইয়ুব আলী, রুমা আক্তার,কমল কৃষ্ণ, মোঃ জহির রায়হান প্রমূখ।এসময় স্থানীয় সাংবাদিক,এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, অভিভাবকবৃন্দ, ছাত্র ছাত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পুরস্কার বিতরণ শেষে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন,,কোরআন তেলাওয়াত, গীতা পাঠ, শপথ বাক্য পাঠ,স্বাগত বক্তব্য, অনুষ্ঠানের উদ্বোধকের ভাষণ,অতিথিদের ভাষণ। অনুষ্ঠানে শপথ বাক্য পাঠ করেন,স্কুলটির ৬ষ্ঠ শ্রেণির মেধাবী ছাত্র সাংবাদিক পুত্র তাহমিদ সাইফ খান।আলোচনা সভায় মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আশরাফুল হাসান বলেছেন, শিশুদের জীবন গড়তে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার ব্যবস্থা করতে হবে। কেননা খেলাধুলা শরীর ও মনকে বিকশিত করে। তাই শিক্ষা হতে হবে আনন্দের মাধ্যমে, প্রতিযোগিতা নয়।
তিনি আরও বলেন আমরা সব সময় এটা মনে করি যে, খেলাধুলা আমাদের অপরিহার্য। আমাদের ছেলেমেয়েরা যত বেশি খেলাধুলার সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারবে, সংস্কৃতিচর্চার সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারবে, সাহিত্যচর্চা করবে, তারা তত সমৃদ্ধ হবে। তাই লেখাপড়ার পাশাপাশি এগুলো একান্তভাবে দরকার। তিনি শিক্ষক ও অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ছেলে-মেয়েদের তাদের পড়াশোনার জন্য অতিরিক্ত চাপ দেয়া উচিত না। অতিরিক্ত চাপে লেখাপড়া নিয়ে শিশুদের মধ্যে যেন ভীতি তৈরি না হয় সেজন্য শিক্ষক ও অভিভাবকদের নজর দিতে হবে।