মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখানে অবৈধ ২টি সিসা কারখানায় পুড়ানো হচ্ছে ব্যাটারি

0
মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখানে অবৈধ ২টি সিসা কারখানায় পুড়ানো হচ্ছে ব্যাটারি

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নে জনবহুল এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ২টি অবৈধ সিসা কারখানায় পুরোনো ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা বের করা হচ্ছে। এতে সারাক্ষণ নাকে আসে তৈরি হওয়া অ্যাসিডের অসহনীয় ঝাঁজালো গন্ধ। এর ফলে প্রকট গন্ধে স্থানীয় বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। তাই স্থানীয় বাসিন্দারা কারখানা ২টি বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়,উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামের মোড়ল বাড়ীর পাশে ফসলি জমির সংলগ্ন ২টি কারখানার রয়েছে। আরেকটি একই ইউনিয়নের হাজীগাও গ্রামে রয়েছে। তবে এটি এখন বন্ধ আছে। দু’টি কারখানাই জনবহুল এলাকায় স্থাপণ করে প্রতিদিনই পোড়ানো হচ্ছে শত শত পুরোনো ব্যাটারির এলুমিনিয়ামের ক্যান ও এলুমিনিয়াম পেপার। এসব ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা তৈরি করা হচ্ছে। এই নির্গত ক্ষতিকর ও বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ওপর দীর্ঘদিন ধরেই বিরূপ প্রভাব ফেলে চলছে।

জানা গেছে, ঢাকা জেলার কেরাণীগঞ্জ উপজেলা শহিন ও নয়ন মিয়া নামে ২ব্যক্তি উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের শিকারপুর ও হাজীগাও গ্রামে ২টি এবং শিকারপুর গ্রামে মাজেদ বেপারী নামে আরেকজন ১টি অস্থায়ী অবৈধ কারখানা স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালীর সহযোগিতায় স্থাপণ করে পুরোনো ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা বের করে আসছে। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পুরোনো ব্যাটারি সংগ্রহ করে কারখানায় এনে ব্যাটারি ভেঙে সিসা গলিয়ে পিন্ড তৈরি করে। এ থেকে সৃষ্ট বর্জ্য জনবহুল এলাকা, ফসলি জমি ও পানিতে মিশে যাচ্ছে। ফলে অতিরিক্ত সিসা থেকে সৃষ্ট বিষক্রিয়ায় মানবদেহে,জমি নষ্টের পাশাপাশি গবাদি পশু, মাছসহ জীববৈচিত্র্যের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

শিকারপুর গ্রামের কৃষক আবুল শেখ বলেন, ‘শিকারপুর গ্রামে যে জায়গায় কারখানা করা হয়েছে এর পাশেই আমার ফসলি জমি। ব্যাটারি থেকে নির্গত এসিড ও বিষে জমির ফসল লাল হয়ে মরে যাচ্ছে। আমি এই কারখানাটি বন্ধ করার দাবি জানাই। এলাকার কৃষক ও বাসিন্দারা অভিযোগ করে জানান, সিসা কারখানা দু’টি থেকে নির্গত এসিড গবাদি পশু, পুকুরের মাছ ও ফসলি জমির ক্ষতি করছে। সিসার বিষে কিছু কিছু জমিতে ধান লালচে হয়ে মরে যাচ্ছে। তীব্র দুর্গন্ধে এলাকাবাসীর শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। অনুমোদনহীন এই কারখানা ২টি বন্ধের ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।

সীসা ফ্যাক্টরিতে কর্মরত কারিগর মোঃ জলিল ও মোঃ মোবারক বলেন,আমাদে বাড়ি হাসনাবাদ ধলেস্বর।আমরা এখানে শিপটি অনুযায়ী কাজ করি যেমন আজ আমরা করছি আগামীকাল অন্যজনেরা করবে।আর এই সীসা ফ্যাক্টরির সাথে এখানকার কে বা কারা আছে জানিনা তবে আমরা এই সীসা ফ্যাক্টরির মালিকের অধিনেই কাজ করছি সীসা কারখানায় কর্মরত শ্রমিক মো. জলিল ও মো. মোবারক জানান,আমাদে বাড়ি হাসনাবাদ দোলেশ্বর। আমরা এখানে শিপটি অনুযায়ী কাজ করি, যেমন আজ আমরা করছি, আগামীকাল অন্যজনেরা করবে। আর এই সীসা কারখানার সাথে এখানকার কে বা কারা আছে জানিনা, তবে আমরা এই সীসা কারখানায় মালিকের অধিনেই কাজ করছি।

অভিযুক্ত কারখানা মালিক শাহিন বলেন, আমাদের কোন কাগজপত্র নাই। আমি আমার ভাই নয়নের সাথে ব্যাবসা করি। বক্তব্য লাগলে তাকে ফোন দেন, আমি কিছু জানি না। কারখানা মালিক নয়ন মিয়া বলেন,এই ব্যবসাটা আমি অনেক দিন যাবত এখানে করতেছি, এখানে শুধু আমার সীসা কারখানা না আরও দুটো আছে। স্থানীয় ভাবে সরাসরি কেউ আমার সাথে জড়িত নেই। আমি একাই ব্যবসা করি।

তবে থানা পুলিশের সহযোগিতা আছে, পাশাপাশি শ্রীনগর ও সিরাজদিখানের সাংবাদিকদের টাকা দেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.শরীফুল আলম তানভীর বলেন, এক্ষনি আমি স্থানীয় চেয়ারম্যান কে পদক্ষেপ নিতে বলতেছি এবং অনতিবিলম্বে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here