প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃনিজস্ব সংবাদদাতা: নারায়নগঞ্জ বন্দরের বুরুন্দি এলাকায় সরকারি খালের উপর অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে জেলা প্রশাসকের সনদ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই নিষিদ্ধ সালফার অক্সাইড ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম হাজী ইয়ার হোসেন। মেসার্স সরকার ট্রেডার্স নামক প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে দীর্ঘ দিন ধরে সে সুপারীর সাথে অনুনোমোদিত এ সকল ক্যামেকেল হর হামেশাই ব্যবহার করে প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকা অবৈধ পন্থায় হাতিয়ে নিচ্ছে।
ইয়ার হোসেন অত্যন্ত ধূর্ত প্রকৃতির। এলাকার কতিপয় প্রভাবশালীকে ম্যানেজ করে প্রায় ২ যুগেরও বেশি সময় ধরে সুপারীর সাথে সালফার অক্সাইড ব্যবহার করে তা বাজারজাত করে আসছে। ইয়ার হোসেনের নিষিদ্ধ প্রতিষ্ঠানের পাশে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। স্কুলে যাতায়াতকালে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা তার ওই ক্যামিকেলের দূষিত বায়ূতে আক্রান্ত হয়ে নানা সমস্যায় ভুগছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান,ইয়ার হাজী খুবই প্রভাবশালী। তার বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে বিপদে পড়তে হয।
তাই এলাকার কেউ ভুলেও প্রতিবাদ করেননা। সবকিছু মুখ বুঝেই সহ্য করতে হয়। অপরাপর বাসিন্দা একই শর্তে জানান,ইয়ার হোসেন অনেক বছর ধরেই এই ব্যবসা করে যাচ্ছেন। তার প্রতিষ্ঠানের অপসারিত ক্যামিকেলের বর্জ্যে এলাকাবাসী নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এ নিয়ে গ্রামবাসী একাধিকবার মানববন্ধন এবং জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তরে আবেদন-নিবেদন করেও কোন প্রতিকার পায়নি। এর আগে তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতে যে মামলা হয় তার নং-৪৫/২১, বন্দর থানার সাধারণ ডায়রি নং-৮১০।
এ ছাড়াও সরকারী খাল পুনরুদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এমনকি ২০২১সালের ১৩অক্টোবর বন্দর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বন্দর,নারায়ণগঞ্জ বরাবরে সরকারী খালের উপরে অবৈধ স্থাপনার কাজ বন্ধকরণ এবং পরিবেশ দূষনের প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আবেদন করা হয়েছিল গ্রমবাসী এর প্রতিকার চেয়ে এসিল্যান্ডসহ পরিবেশ অধিদপ্তর বরাবর প্রতিকার চেয়েছেন।
কিন্তু তাতে কোন ফল হয়নি। তথাপিও গ্রামবাসী ইয়ার হোসেনের নিষিদ্ধ সালফার অক্সাইড ক্যামিকেল ব্যবহার বন্ধ ও সরকারি খাল দখল মুক্ত করার জন্য প্রশাসনের উর্দ্ধতন মহলের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে।