প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ হবিগঞ্জের মাধবপুরে কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না কৃষিজমি থেকে মাটি কাটা। প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে দিনে-রাতে ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়। এতে দিন দিন কমে যাচ্ছে কৃষিজমি। সেই সঙ্গে ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ। হুমকিতে পড়ছে জনস্বাস্থ্য।এলাকার রাস্তা ঘাট ভেঙ্গে চৌচির হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন কৃষকেরা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার বুল্লা ইউনিয়নের তিন ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি করছে। এ ছাড়া উপজেলার জগদীশপুর, আদাঐর ,আন্দিউড়া ও ছাতিয়াইন ইউনিয়নের কৃষিজমির মাটি কাটা হচ্ছে। অনেক জমিতে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে। কৃষিজমির মাটি কাটায় স্থানীয় কৃষক ও প্রশাসন বাধা দিলেও তা বন্ধ হচ্ছে না। সুযোগ পেলেই মাটি কেটে বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে।
ভেকুর মাধ্যমে এমনভাবে মাটি কাটছে যে, একটু বৃষ্টি হলেই পাশের কৃষিজমি ভেঙে পড়বে। এতে একদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষক। অন্যদিকে লাভবান হচ্ছে মাটির ব্যবসায়ীরা।উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় বেশির ভাগ জমিই তিন ফসলি। এখানে ধান, পাট, আলু, পেঁয়াজ, ভুট্টা, সরিষাসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করা হয়। এভাবে মাটি ও বালু বিক্রির ফলে নীট ফসলি জমি কমে গেছে।। এভাবে চলতে থাকলে একসময় চাষাবাদের জন্য কোনো জমিই পাওয়া যাবে না।
জানা যায়, উপজেলা প্রশাসন মাঝেমধ্যেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মাটির ব্যবসায়ীদের জেল-জরিমানা করে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে ভিন্ন পথ অবলম্বন করেছেন। তাঁরা দিনে বা রাতে সময় পেলেই ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছেন।বুল্লা গ্রামের কৃষক মাসুক মিয়া বলেন, মাটি কাটার ফলে কৃষি জমি কমে যাচ্ছে। মাটি ও বালু ব্যবসায়ীরা প্রকাশ্যে এগুলো করছে।
তাঁদের মাটি কাটার কারণে আমাদের জমি ভেঙে পড়েছে। কোনোভাবেই চক্রটির মাটি কাটা বন্ধ হচ্ছে না। প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে আমাদের জমিগুলো একসময় আর থাকবে না। তাঁদের নিষেধ করতে গেলে তাঁরা হুমকি-ধমকি দিয়ে জোর করে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছেন।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আহসান বলেন,কৃষিজমি থেকে মাটি কাটা বন্ধ করতে উপজেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। খবর পেলেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেল-জরিমানা করা হচ্ছে। যাঁরা রাতের আঁধারে কৃষিজমির মাটি কাটছেন, তাঁদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।