প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট থানার ঘোষেরহাট-ঢাকা রুটের এম.ভি. জাহিদ-৭ লঞ্চে দুই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. মফিজ (২৫) নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। বুধবার (৪ জানুয়ারি) সকালে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট থানাধীন ঘোষেরহাট লঞ্চ ঘাটে এম.ভি. জাহিদ-৭ লঞ্চ থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটককৃত মফিজ উপজেলার দুলারহাট থানার নীলকমল ইউনিয়নের চরযমুনা গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. বাদশা মিয়ার ছেলে। সে এম. ভি. জাহিদ-৭ লঞ্চের একজন লস্কর ও দুই সন্তানের জনক। ভিষ্টিম দুই তরুণী পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার চর কাজল ইউনিয়নের চর কাজল গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। একজনের বয়স ১৪ বছর অপরজনের বয়স ১৮ বছর। বুধবার ১৪ বছরের কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে লঞ্চের লস্কর মফিজকে আসামী করে দুলারহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা এজাহার সূত্রে জানা যায়, দুই তরুণী ঢাকাতে একটি গার্মেন্টসে চাকুরীর জন্য ৩০ অক্টোবর ঘোষেরহাট লঞ্চঘাট থেকে ঢাকাগামী এম. ভি. জাহিদ-৭ লঞ্চে উঠে ডেকে বিছানা করেন। সন্ধ্যার দিকে জাহিদ-৭ লঞ্চের লস্কর মফিজ দুই তরুণীদের বলেন লঞ্চে ডেকের ও কেবিনের ভাড়া একই। আপনারা কেবিনে থাকতে পারেন। লস্কর মফিজের কথায় দুই তরুণী ইঞ্চিন রুমের পাশে লঞ্চ ষ্টাফদের নিচের কেবিন ভাড়া নেন।
রাত ১২টার দিকে লস্কর মফিজ উপরের কেবিনে প্রবেশ করে কাঠের পাটাতন সরিয়ে নিচের কেবিনে প্রবেশ করে ছুরি হাতে নিয়ে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে দুই তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। সকালে ঢাকা সদরঘাটে লঞ্চ পৌছালে দুই তরুণী লঞ্চ থেকে নেমে ঢাকার নারায়নগঞ্জে একটি মহিলা মেসে উঠেন। ভয়ে দুই তরুণী কাউকে এ বিষয়ে কিছু বলেননি। ঘটনার দুই মাস পর ১৪ বছরের তরুণীর প্রেগনেন্সি ধরা পরে।
বিষয়টি তরুণী তার পিতাকে জানালে তরুণীর পিতা ঢাকাতে গিয়ে জাহিদ-৭ লঞ্চে করে আজ বুধবার গ্রামে ফিরেন। ওই লঞ্চে লস্কর মফিজও ছিল। দুলারহাট থানায় এসে তরুণীর পিতা বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা দায়ের করলে পুলিশ মামলার প্রধান আসামী লঞ্চের লস্কর মফিজকে আটক করে। দুলারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ারুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এঘটনায় ১৪ বছরের তরুণীর পিতা বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় এজাহারভূক্ত আসামী লঞ্চের লস্কর মফিজকে আটক করা হয়েছে।