প্রেসনিউজ২৪ডটকম:রাজশাহীতে বিএনপি’র বিভাগীয় ধারাবাহিক সমাবেশের ৯ম গণসমাবেশ আজ (৩ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠে দুপুর ২টা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
এ সমাবেশের মধ্য দিয়ে ঢাকার বাইরে দলটির কর্মসূচি শেষ হচ্ছে।ঢাকার বাইরে বিভাগীয় পর্যায়ের শেষ কর্মসূচি ঘিরে বিএনপি নেতাকর্মীরা বেশ উজ্জীবিত। তবে অন্য বিভাগীয় সমাবেশের মতো রাজশাহীর সমাবেশের আগে থেকেই মাঠে প্রবেশ করতে পারছেন না নেতাকর্মীরা।পাশের ঈদগাঁ মাঠে সামিয়ানা টানিয়ে অবস্থান নিয়েছেন বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতাকর্মীরা। ফলে মাঠের অদূরেই যেন পরিণত হয় আরেক সমাবেশে।
আজ শনিবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকে প্রবেশের অনুমতি রয়েছে বলে জানান বিএনপি নেতারা। তবে মঞ্চ তৈরির কাজ গতকাল (২ ডিসেম্বর) বিকেলেই শেষ হয়েছে।বিএনপি দাবি করছে, পথে-পথে বাধা, পুলিশি তল্লাশি উপেক্ষা করেই দুই থেকে চার দিন আগেই রাজশাহীতে প্রবেশ করে দলটির নেতা কর্মীরা। রাজশাহী থেকে পুরো বিভাগকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এত বাধা সত্বেও নেতা কর্মীরা বিভিন্নভাবে নগরীতে প্রবেশ করেছে বলে জানান বিএনপি নেতা কর্মীরা।এদিকে রাজশাহী-নাটোর মহাসড়কের পুঠিয়া, বেলপুকুর, কাটাখালি ও তালাইমারি, রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের মোহনপুর, নওহাটা ও নওদাপাড়া এবং রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কের গোদাগাড়ী ও কাশিয়াডাঙ্গা মোড়ে পুলিশের বিশেষ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার(২ ডিসেম্বর) বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু গণমাধ্যমে বলেন,পুলিশি বাধা এবং হয়রানি উপেক্ষা করে এরই মধ্যে লাখো নেতাকর্মী রাজশাহী শহরে প্রবেশ করেছে। এরই মধ্যে অনেকেই রাজশাহী ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠের পাশে ঈদগাহ মাঠে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। বাধা দিয়ে হয়রানি করে বিএনপি নেতাকর্মীদের সমাগম ঠেকানো যাবে না।
তিনি বলেন,ঈদগাহ মাঠে নেতাকর্মীদের থাকার জন্য তাবু টানানোর ব্যবস্থা করা হলেও পুলিশ প্রথম দিকে তাতেও বাধা দেয়। ফলে অনেক নেতাকর্মীকে রাতে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতে হচ্ছে।মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রফিকুল আলম বলেন,নগরীর প্রবেশদারগুলোতে নিয়মিত চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। বিএনপির সমাবেশ ঘিরে যেকোন অপ্রিতিকর ঘটনা এড়াতে নজরদারী ও তল্লাশি বাড়ানো হয়েছে।তবে হয়রানি ও অনেককে ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয় বলে জানান তিনি।