ভোলায় জুয়া খেলার সময় পুলিশ দেখে নদীতে লাফ দিয়ে নিখোঁজ নোমানের লাশ উদ্ধার

0
ভোলায় জুয়া খেলার সময় পুলিশ দেখে নদীতেলাফ দিয়ে নিখোঁজ নোমানের লাশ উদ্ধার

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ কামরুজ্জামান শাহীন,ভোলা॥ভোলার দৌলতখান জুয়া খেলার সময় পুলিশ দেখে মেঘনা নদীতে লাফদিয়ে নিখোঁজ যুবক মো. নোমানের মুখমণ্ডল ধেঁতলানোরক্তমাখা লাশ চার দিন পর উদ্ধার করা হয়েছে।গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে যে স্থানে লাফ দিয়েনিখোঁজ হয়েছিল সেখান থেকেই ভাসমান অবস্থায় তার লাশউদ্ধার করা হয়। নিহত মো. নোমান দৌলতখান উপজেলার চর খলিফা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের আবুল কালাম ব্যাপারীর ছেলে।

তিনি পাতারখালমাছঘাটে আলমগীর হোসেন কমিশনারের মাছের আড়তে কাজকরতেন।নিহত নোমানের স্বজনরা লাশ শনাক্ত করেছেন। তবে লাশের মুখমণ্ডলথেঁতলানো এবং নাক ফাটা রক্ত জমাট বেঁধে লাল হয়ে ছিল। পুলিশলাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গেপ্রেরণ করেছেন।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা, যে স্থানে লাফ দিয়ে নিখোঁজহয়েছিলেন নোমান সেই স্থানেই একটি লাশ ভাসতে দেখেনস্থানীয়রা। পরে তারা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশউদ্ধার করলে নোমানের স্বজনেরা লাশ সনাক্ত করেন।

নোমানের লাশ উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়লে আত্নীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও স্থানীয়রা নোমানের লাশ একনজর দেখার জন্য ঘটনাস্থলে ভিড়করেন। স্বজনদের আহাজারিতে ঘটনাস্থলে এক হ্নদয়বিদারক দৃশ্যেরসৃষ্টি হয়। আহাজারির কন্ঠে স্বজনরা এ ঘটনায় জড়িত পুলিশসদস্যদের বিচারের দাবী করেন।দৌলতখান থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাকির হোসেন এ তথ্যনিশ্চিত করে বলেন, নিহত নোমানের স্ত্রী নাছরিনের আবেদনেরপ্রেক্ষিতে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

এছাড়া তারমৃত্যুর কারণ চিহ্নিত করার জন্য লাশ ভোলা সদর হাসপাতারে মর্গেপ্রেরণ করা হয়েছে।প্রসঙ্গতঃ গত বৃহস্পতিবার ২৪ নভেম্বর দুপুরের দিকে দৌলতখানথানাসংলগ্ন পাতারখালের মাছঘাট এলাকায় মেঘনা নদীর তীরেতাস খেলছিলেন কয়েকজন যুবক। এ সময় মো. নোমান ও তাঁরসঙ্গীরা দৌড়ে গিয়ে মেঘনা নদীতে লাফ দেন। সবাই সাঁতরেতীরে উঠতে পারলেও নোমান স্রোতে ভেসে যান। স্থানীয় জেলে,কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা অনেকখোঁজাখুঁজি করেও নিখোঁজ নোমানের সন্ধান পাননি।

ওই সময় তারা পুলিশ সদস্যকে দেখে কয়েকজন যুবক মেঘনানদীতে লাফ দেন। পরে পুলিশ চলে গেলে সবাই নদী থেকে উঠে এলেওনোমান এখন পর্যন্ত নিখোঁজ। নিখোঁজ যুবকের উদ্ধারে পুলিশও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পুলিশলাইন্সে সংযুক্ত (ক্লোজড) করা হয়েছে। তাঁরা হলেন উপপরিদর্শক(এসআই) সৌরভকান্তি পাল, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই)মো. সোহেল, কনস্টেবল মো. রাসেল ও মো. সজিব।

এছাড়া এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে লালমোহন সার্কেলের অতিরিক্তপুলিশ সুপার মো. জহুরুল ইসলামকে প্রধান করে ৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন, জেলা গোয়েন্দা শাখার ইনচার্জ মো. এনায়েতহোসেন ও ভোলা সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের ইনচার্জমো. জহিরুল ইসলাম কামরুল।এবং নোমান নিখোঁজের ঘটনায় গতকাল শনিবার ২৬ নভেম্বরসকালে তাঁর পরিবার পক্ষ থেকে দৌলতখান থানায় একটি সাধারণডায়েরি (জিডি) করেছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here