প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নৌ শ্রমিকদের ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা মুজুরি ও কর্মক্ষেত্রে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১২ লাখ টাকা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশসহ সাত দফা দাবিতে ২৬ নভেম্বর দিনগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে সারাদেশে ধর্মঘট পালন করছে নৌযান শ্রমিকরা। তারই অংশ হিসাবে রোববার (২৭ নভেম্বর) ভোর ৬টা থেকে চাঁদপুরেও বন্ধ রয়েছে সকল লঞ্চ চলাচল।
বিআইডব্লিটিএ’র চাঁদপুর লঞ্চঘাটের টিআই আঃ রহমান জানান, রোববার ভোর ৬টা থেকে চাঁদপুর ঘাট থেকে কোনো লঞ্চ ছেড়ে যায়নি এবং কোন লঞ্চ আসেনি। শরিয়তপুরের সুরেশ্বর থেকে এমভি শাহ আলী নামক দেড় তলা বিশিষ্ট একটি লঞ্চ সকাল দশটার পর আসলে সেটি ঘাটেই বেঁধে রাখা হয়।এদিকে, দুরদুরান্ত থেকে অনেক যাত্রী লঞ্চ চলাচল না করায় ঘাটে এসে ফিরে যাচ্ছেন। অনির্দিষ্টকালের জন্য হঠাৎ লঞ্চ ধর্মঘটের ফলে বিপাকে পড়েছেন তারা।
যাত্রীদের অভিযোগ, হঠাৎ লঞ্চ ধর্মঘট কেন? আগেভাগে জানিয়ে দিলে তারা এমন সমস্যায় পড়তেন না।অপরদিকে নৌ যান শ্রমিকরা জানায়, গত সাত বছরে কয়েক দফা দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। মজুরি-ভাতা বৃদ্ধি না হওয়ায় নৌযান শ্রমিকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে। এখন তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। তাই সাধারণ শ্রমিকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দিতে বাধ্য হয়েছে।
সরজমিন দেখা যায়, লঞ্চ চলাচল বন্ধ রেখে নৌযান শ্রমিকরা অলস সময় পাড় করছে। চাঁদপুরের লঞ্চগুলো মেঘনা নদীর ঘাটের অদূরে বয়ার সাথে নোঙ্গর করে রেখেছেন। আর কিছু লঞ্চ শহরের ডাকাতিয়া নদীর কয়লাঘাটে বেধে রাখা হয়েছে।