প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃনিজস্ব সংবাদদাতা: রাজনীতি মানেই শক্তি এবং প্রভাব। তাই একশ্রেণীর অর্থ ও বিত্তশালীরা এই শক্তি আর প্রভাবের জন্যই ইদানীংকালে ঝুঁকে পড়ছে রাজনীতিতে। তাদেরই একজন কলাগাছিয়া ইউনিয়নের নব্য আওয়ামীলীগার হাজী আহম্মেদ তুষার মাইনুদ্দিন। আহম্মেদ তুষার মাইনুদ্দিন প্রায় ২০ বছর প্রবাসে কাটালেও সেই প্রবাসীই এখন কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কান্ডারী হওয়ার স্বপ্নে বিভোর।
তুষার প্রমাণ করতে চান টাকা থাকলে কেবল সমাজপতি নয় রাজনীতির বড় পদও কেনা যায়। সেই লক্ষ্য নিয়েই ািবগত ৬মাস ধরে পুরোদমে মাঠে নেমেছেন হাইব্রিড এই নেতা। তবে তাকে ওই পদে আসীন করতে তার টাকার পিছু ছুটেছে এক শ্রেণীর চাটুকার প্রকৃতির নামধারী কর্মী-সমর্থক। নিজেদের স্বার্থে ওই সকল কর্মী-সমর্থকরা রাজনৈতিক নীতি-আদর্শ জলাঞ্জলী দিয়ে মাইনুদ্দিনের পিছনেই ঘুরে বেড়ায়।
এ ব্যাপারে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের জনৈক যুবলীগ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান,মাইনুদ্দিন একজন অতিথি পাখি। যখন মন চায় দেশে আসেন আবার সুযোগ বুঝে বিদেশ চলে যান। তিনি এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতেই রাজনৈতিকভাবে নিজেকে মেলে ধরতে চাইছেন। অথচ আন্দোলন সংগ্রামে তার কোন অবদান নেই। রাজনীতিতে যার বিন্দুমাত্র অবদান নেই সে দলের ভাইটাল পোষ্ট পাওয়ার স্বপ্ন দেখে কি করে। তাই আমার অনুরোধ থাকবে টাকার লোভে পড়ে কেউ নীতিকে বিসর্জণ দিবেন না।
সুখে-দুঃখে আমরা যাকে পাই তাকেই এখন মূল্যায়নের সময়। ওই ইউনিয়নের অপরাপর আওয়ামীলীগ নেতা একই শর্তে জানান,কলাগাছিয়া আওয়ামীলীগের পদ অনেকটা মুড়ির মোয়ার মতো মনে হচ্ছে। মুড়ির মোয়া যেমন চাইলেই মুখে দেয়া যায় কলাগাছিয়া আওয়ামীলীগের পদটা যেনে অনেকটা তেমনই মনে করা হচ্ছে যে কেউ হঠাৎ এসে পদ বাগিয়ে নিলো।
তাহলে এতোদিন যারা শ্রম,মেধা,সময় ব্যায় করেছে তাদের কি সেসবের কোন মূল্য নেই। বিষয়টি প্রকৃত নেতা-কর্মীদের খেয়াল রাখা উচিত। পদে পদে হাইব্রিডরা এসেই পদ পেয়ে গেলে ভবিষ্যতে ত্যাগীদেরকে এভাবেই বঞ্চিত হয়েই থাকতে হবে।