প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ দিনাজপুরের ফুলবাড়িতে সন্ত্রাসীর ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়ে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে আছেন আসাদুজ্জামান কায়সার নামের একজন পশু হাসপাতালের কর্মচারী। গত বুধবার বিকাল পাঁচটায় উপজেলার বেতদিঘী ইউনিয়নের মাদিলা হাঁটে এই ঘটনাটি ঘটে।আহত আসাদুজ্জামান কায়সার বেতদিঘী ইউনিয়নের কাঁসাপুকুর গ্রামের আলহাজ্ব মোহাম্মদ মোবারক আলীর ছেলে।হামলাকারী একই গ্রামের মৃত নবাব উদ্দিন মন্ডলের ছেলে জাকারিয়া উজ্জ্বল।
এ ব্যাপারে আহতের ভাতিজা রোমান আলী বাদী হয়ে ফুলবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ ঘাতক জাকারিয়া উজ্জ্বলকে আটক করেন। অভিযোগে উল্লেখ ,অভিযুক্ত জাকারিয়া উজ্জ্বল একজন মাদক সেবী, দুর্দান্ত সন্ত্রাসী ও উন্মাদ প্রকৃতির মানুষ। তার উশৃংখল কার্যকলাপ ও অত্যাচারে ে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী। তার অত্যাচার থেকে পরিত্রাণ পেতে গত ৩-১১-২০২২ ফুলবাড়ী থানায় অর্ধ শতাধিক গ্রামবাসীর স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ দায়ের করেন গ্রামবাসীর পক্ষে আসাদুজ্জামান কায়সার ও ভাতিজা রোমান আলী।
যার অনুলিপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় চেয়ারম্যান বরাবরও দেওয়া হয়।এরই জের ধরে ঘটনার দিন বিকেলে আসাদুজ্জামান কায়সার মোটরসাইকেল যোগে মাদিলা হাটে ঢোকার মুহূর্তে তাকে ধাক্কা দিয়ে চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেয় পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসী জাকারিয়া উজ্জ্বল। এরপর রড দিয়ে কায়সারকে এলোপাতারি মারতে থাকে। এবং তার কোমরে থাকা চাকু বের করে কায়সারের পিঠে একাধিক আঘাত করে।
এ সময় তার আত্মচিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসলে ঘাতক উজ্জ্বল সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী আসাদুজ্জামান কায়সারকে রক্তাক্ত অবস্থায় সেখান থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেয়। তার পিঠে ১৬ টি সেলাই লাগে বলে জানা যায়। এমন সন্ত্রাসী হামলার উপযুক্ত বিচার দাবি করেন গ্রামবাসী ও ভুক্তভোগীর পরিবার।