আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলছি বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ আসবে না : খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার

0
আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলছি বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ আসবে না : খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মানুষ তিন থেকে চার গুণ খাদ্য মজুত না করলে দেশে দুর্ভিক্ষ আসবে না বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার তিনি বলেছেন দুর্ভিক্ষ আসছে এই আতঙ্কে যদি মানুষ ৩-৪ গুণ খাদ্য কিনে মজুত না করে, তবে আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলছি, বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ আসবে না।

রোববার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রশিক্ষণ কক্ষে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ‘গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপদ খাদ্য আইন এবং বিধিপ্রবিধি অবহিতকরণ’—শীর্ষক কর্মশালা এবং খাদ্যপণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সনদ প্রদানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে, বিএফএসএ সদস্য প্রফেসর ড. আব্দুল আলীমের স্বাগত বক্তব্যে স্বাস্থ্য সনদ প্রদান অনুষ্ঠান শুরু হয়।খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন আগে খাদ্য রপ্তানি করতে গেলে বিদেশ থেকে কর্তৃপক্ষ এসে সনদ দিত। এখন থেকে আর সেটির প্রয়োজন হবে না।

বাংলাদেশই আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী সনদ দিবে। এতে করে সারাবিশ্ব জানবে, বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্য পাওয়া যায়। যার ফল স্বরূপ, রপ্তানি আরও ত্বরান্বিত হবে।প্রতিটি বাড়িতে বা বাসায় রান্না থেকে টেবিল পর্যন্ত খাবার নিরাপদ কিনা তা দেখার ওপর জোরদার করেন এবং বলিষ্ঠ জাতি গঠনে নিরাপদ খাদ্যের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেন তিনি।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন। তিনি বলেন আন্তঃমন্ত্রণালয়ের কাজের যাতে ওভারলেপিং না হয়, তা আমরা বসে সমাধানের চেষ্টা করব।

তিনি খাদ্যপণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে সর্বজনস্বীকৃত স্বাস্থ্য সনদ প্রদান করার জন্য আস্থা তৈরির ওপর জোর দেন এবং বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ ও নির্ভুলভাবে প্রদান করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।স্বাস্থ্য সনদ প্রদান অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকার। তিনি বলেন খাদ্যপণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে বিএফএসএ কর্তৃক প্রদেয় স্বাস্থ্য সনদ দেশের সামগ্রিক রপ্তানি বৃদ্ধি করবে। এ সময় ইএসএল বাংলাদেশ লিমিটেড ও ট্রাস্ট এন্ড ট্রেড নামে দুটি কোম্পানিকে স্বাস্থ্য সনদ প্রদান করার মাধ্যমে ওই কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করা হয়।

এ ছাড়া সকাল সাড়ে ১১টায় শুরু হওয়া কর্মশালায় নিরাপদ খাদ্য আইন ও বিধি প্রবিধি সম্পর্কে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএফএসএর সদস্য মঞ্জুর মোর্শেদ আহমদ। তাতে নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ এর বিভিন্ন ধারা ও অধ্যায়, খাদ্য দূষণকারী, সংযোজন দ্রব্য ব্যবহার, স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ সংরক্ষণ, খাদ্য স্পর্শক, ব্যবসায়ীর বাধ্যবাধকতা, দূষণ, টক্সিন ও ক্ষতিকর অবশিষ্টাংশ, ট্রান্স ফ্যাটি এসিড নিয়ন্ত্রণ, বিষাক্ত পদার্থযুক্ত খাদ্যদ্রব্য প্রত্যাহারবিষয়ক প্রবিধানমালা বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

কর্মশালায় জানানো হয়, বিশ্বে প্রতিবছর ১০ জনে একজন খাদ্যজনিত অসুস্থতায় ভোগে এবং চার লাখ ২০ হাজার জন মারা যায়। প্রতি ৩ জনে একজন শিশু মারা যায় খাদ্যজনিত অসুস্থতায়। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় ১৫০ মিলিয়ন মানুষ অসুস্থ হচ্ছে এই কারণে, মারা যায় এক লাখ ৭৫ হাজার, যার মধ্যে ৫০ হাজার শিশু।

ওই কর্মশালা ও স্বাস্থ্য সনদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা, রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা, গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন বিএফএসএর আইন কর্মকর্তা শেখ মো. ফেরদৌস আরাফাত।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here