খুনিদের যারা বাঁচাতে চেয়েছে ১০ ডিসেম্বর তাদের বিরুদ্ধেই খেলা হবে : ওবায়দুল কাদের

0
খুনিদের যারা বাঁচাতে চেয়েছে ১০ ডিসেম্বর তাদের বিরুদ্ধেই খেলা হবে : ওবায়দুল কাদের

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ বঙ্গবন্ধুর খুনি ও গ্রেনেড হামলা মামলার আসামিদের যারা বাঁচাতে চেয়েছে আগামী ১০ ডিসেম্বর তাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে বলে হুশিয়ারী দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।সোমবার(৭ নভেম্বর) টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, পালানোর দল আওয়ামী লীগ নয়- বিএনপি। বিএনপির আমলে মানুষ ঘরে থাকতে পারেনি।

এখন মানুষ শান্তিতে থাকতে পারে। বাঁশের লাঠিতে জাতীয় পতাকা লাগিয়ে রাস্তায় নামবেন তা হবে না। বরিশাল ও রংপুরে বস্তা বস্তা টাকা দিয়ে মানুষ নিয়ে গেছেন। দশ লাখ মানুষের কথা বলেন! অথচ সমাবেশে তো আপনাদের চেয়ার ফাঁকা থাকে।তিনি বলেন, তারেক রহমান মুচলেকা দিয়ে গেছেন যে, তিনি রাজনীতি করবেন না। তারপরও তিনি লন্ডনে বসে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে রাজনীতি চালাচ্ছেন। ডিসেম্বরে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে খেলা হবে। বিএনপির দুঃশাসন এবং যারা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বাঁচাতে চেয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ১০ ডিসেম্বর খেলা হবে। যারা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আসামিদের বাঁচাতে চেয়েছে তাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনারা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবেন বলছেন। তিনি তো মুক্তই। তাকে নিয়ে তো আপনারা একটা মিছিলও করতে পারেননি। খালেদা জিয়াকে নিয়ে রাজনীতি কইরেন না, বেশিও বুইঝেন না।সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। সারা বিশ্ব আজ শেখ হাসিনার প্রশংসা করে। এখন বছরের প্রথম দিনেই বাচ্চাদের হাতে বই তুলে দেওয়া হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করে বাঙালি জাতিকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলে।

বঙ্গবন্ধু কন্যা এ দেশকে বিশ্ব দরবারে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে গেছে। সন্ত্রাসী, লুটেরা ও স্বাধীনতা বিরোধী চক্র দেশকে পিছিয়ে দিতে চায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূর প্রসারি চিন্তা-চেতনায় বিশ্ব মহামারী করোনা সহ সকল সংকট কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে।ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল-আলম-হানিফ বলেন, ’৭১-এর পরাজিত শক্তিরা দেশকে পিছিয়ে নিতে চায়, তারা আরেকটা ’৭৫- এর দিবাস্বপ্ন দেখছে। তাদের সে ইচ্ছা কোনভাবেই পুরণ হবেনা। জনগনকে সাথে নিয়ে তাদের সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াব।আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য শ্রমিক নেতা শাজাহান খান এমপি বলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যার পরোক্ষ খুনি।

বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে খুন করে তিনি ক্ষমতায় এসেছিলেন। এ দেশে এখন আর মঙ্গা নেই। খাদ্য ঘাটতি কাটিয়ে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। আমাদের খাদ্য এখন উদ্বৃত্ত হয়। টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে বেলুন উড়িয়ে জেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন, আওয়ামীলীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ডক্টর মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি।জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুকের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামীলীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি ও আব্দুর রহমান, আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ডক্টর আবদুস সালাম গোলাপ এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান, শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন প্রমুখ।

সম্মেলনে টাঙ্গাইলের আটটি সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্যরা সহ জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার নেতারা বক্তব্য রাখেন। প্রায় দেড় লাখ লোকের সম্মেলন পরিচালনা করেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম(ভিপি জোয়াহের) এমপি।সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিলরদের সমর্থনে পুনরায় একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুককে সভাপতি ও অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম(ভিপি জোয়াহের) এমপিকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here