প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মোঃ আনিছুর রহমান রলিন.মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: মুন্সীগঞ্জ জেলায় শীতকালীন সবজি চারা উৎপাদনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। উচু জমিতে বীজতলা তৈরী করে চারা উৎপাদন করা হচ্ছে। চারা উৎপাদনে কৃষকদের প্রাথমিকভাবে বীজতলা তৈরীর কাজে মনোযোগী হতে হয়। পরবর্তীতে বীজতলার পরিচর্চা করতে করতে বিভিন্ন জাতের সবজি চারা উৎপাদন করা হয়ে থাকে। স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে বিভিন্ন জাতের এসব চারা বিক্রি করা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়।
মুন্সীগঞ্জে চারা উৎপাদনকারী কৃষকরা বলেন, প্রতি বছর আগস্টের মাঝামাঝি বিভিন্ন জাতের চারা উৎপাদন মৌসুম শুরু হয়। বীজ বোনা থেকে ২৫ দিনের মধ্যে চারা বিক্রি করা হয়। প্রতি হাজার চারা ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকায় বিক্রি হয়। এক মৌসুম এক একটি বীজতলায় ৪-৫ বার চার উৎপাদন করা হয়।প্রতি মৌসুমে আড়াই থেকে তিন কোটি চারা উৎপাদন হয়। যা সাড়ে ৩ কোটি থেকে ৪ কোটি টাকা বিক্রি হয়ে থাকে।এদিকে মুন্সীগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সবজি চারা উৎপাদন মুন্সীগঞ্জ দেশের মধ্যে প্রসিদ্ধ।মুন্সীগঞ্জ জেলায় অন্তত ৩০০ জন কৃষক শীতকালীন লাউ, কুমড়া, মরিচ, বেগুন, টমেটো, ফুলকপি, বাধাকপি, ব্রোকলি চারা উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত।
এ দিকে মুন্সীগঞ্জসদর উপজেলার পঞ্চসার গ্রামের সবজি চারা উৎপাদনকারী মোঃ লিয়াকত হোসেন বেপারী জানান, আগস্টের মধ্যভাগে ৫০ শতক জমিতে তিনি ফুলকপি, বাধাকপি চারা চাষ করেন। এতে তার ৩ লাখ টাকার মতো খরচ হয়। সে চারা প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা বিক্রি হয়েছে।মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাকির হাসান বলেন, এ অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে বেশিরভাগ বিভিন্ন জাতের সবজি চারা উৎপাদন করে থাকেন সদরের কৃষকরা। সবজি চারা উৎপাদন লাভজনক পেশা। কয়েকটি এলাকার কৃষক সবজি চারা উৎপাদনকে প্রধান পেশা হিসাবে নিয়েছেন। চারা উৎপাদনে জৈবসার ও খৈল ব্যবহার করা হয়। ফলে চারার গুণগত মান ভালো।
জেলা সম্প্রসারণ অধিদপ্তরর উপ-পরিচালক মো. খারশীদ আলম বলেন, এ জেলায় শীতকালীন সবজি চাষ ইতামধ্যেই শুরু হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে হিসাবে ব্যাপক বিভিন্ন জাতের চারা উৎপাদন করা হচ্ছে। এসব চারা জেলার চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি হচ্ছে। এসব চারার গুণগত মানও ভালো।