প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ সিদ্ধিরগঞ্জে মিজমিজি দক্ষিনপাড়া এলাকার চিহ্নিত জালিয়াত ও প্রতারক সায়েম খান অরবিল (৩০) কে ওয়াকিটকিসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। সে চেক জালিয়াতির মামলায় এক বছরের সাজপাপ্ত পলাতক আসামী বলে জানিয়েছে র্যাব। শনিবার (২২ অক্টোবর) বিকালে মিজমিজি বুকস গার্ডেন এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর হয় বলে জানিয়েছেন র্যাব-১১ এর মিডিয়া সেন্টার।
পুলিশ জানায়, সায়েম খান অরবিল নামে এক যুবককে একটি ওয়াকিটকিসহ গ্রেপ্তার করে র্যাব থানায় দিয়ে গিয়েছে। সে একটি চেক জালিয়াতির মামলার এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী। রোববার তাকে আদালতে পাঠানো হবে। গ্রপ্তারকৃত সায়েম খান অরবিল মিজমিজি দক্ষিনপাড়া এলাকার সৈয়দ হোসেন খানের ছেলে। পুলিশ আরও জানায়, ১৭৮ পিস ইয়াবা উদ্ধার এর ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামী সায়েম খান অরবিল।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এস আই আঃ ওয়াহাব বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এদিকে গ্রেপ্তারকৃত অরবিল নিজেকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের লিয়াজু অফিসার পরিচয় দিয়ে ওয়াকিটকি নিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে। তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে। এরআগে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। জামিনে বেরিয়ে এসেই সে তার অপকর্ম পুনরায় শুরু করে।
এলাকাবাসী জানায়, গ্রেপ্তারকৃত অরবিলের বিরুদ্ধে জালিয়াতি, প্রতারণা, মাদক ব্যবসাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। সে ওয়াকিটকি ব্যবহার করে এলাকার প্রভাব বিস্তার করে। নানা অপকর্ম করে পার পেয়ে যায় ওয়াকিটকি ব্যবহার করে। কারণ ওয়াকিটকি দেখে মানুষ মনে করে সে প্রশাসনের লোক। ফলে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস করে না। এদিকে একটি সূত্র জানায়, সায়েম খান অরবিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে চাকরির সুবাদে ওয়াকিটকি ব্যবহার করার সুযোগ পেলেও এটা তো সে বাড়িতে এনে ব্যবহার করতে পারে না।
চট্টগ্রাম সিটিতে সেটা সংরক্ষিত থাকবে। এটা তো আইনসিদ্ধ হলো না। এই ওয়াকিটকি ব্যবহার সে কোন অপর্কম করলে এর দায় দায়িত্ব কে নিবে। মানুষ তো ভয়েও প্রতিবাদ করবে না। মনে করবে সে প্রশাসনের লোক। তাছাড়া একজন লিয়াজু অফিসারের কাছে ওয়াকিটকি থাকার কথা নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার।