সারাদেশে ধরপাকড়, মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার নির্যাতন করে এই সরকারের শেষ রক্ষা হবে না : মির্জা ফখরুল

0
সারাদেশে ধরপাকড়, মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার নির্যাতন করে এইভাবে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না : মির্জা ফখরুল

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ আওয়ামী লীগ সরকার ঘাবড়ে গিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।তিনি বলেন, এইভাবে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। বৃহস্পতিবার বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সারাদেশে ধরপাকড়, মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার, জামিন বাতিল করে নেতাকর্মীদের কারাগারে প্রেরণ, পুলিশি হামলা ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নির্যাতনের প্রতিবাদে ঢাকায় এই বিক্ষোভ সমাবেশ হয়।আওয়ামী লীগ সরকারের দেশ শাসনের কোনো অধিকার নেই মন্তব্য করে   মির্জা ফখরুল  বলেন, তারা সব ক্ষেত্রে ব্যর্থ। অবিলম্বে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। ভালোই ভালোই সরে পড়েন। নইলে দেশের জনগণ জানে কিভাবে সরাতে হয়।বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের চলমান আন্দোলনের মূল লক্ষ্য এই সরকারের গণবিরোধী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে।

আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে আমাদের আন্দোলন। সারাদেশে বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মীদের হত্যার প্রতিবাদে আন্দোলন। আমরা বলতে চাই আমাদের যেসব সহযোদ্ধা শহীদ হয়েছেন তাদের রক্ত ও আত্মত্যাগ কখনো বৃথা যাবেনা। আমরা তাদের হত্যার মধ্য দিয়ে এই দানবীয় আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগ চাই।তিনি বলেন, অবিলম্বে মিথ্যা মামলা ও গুলি করে মানুষ হত্যা বন্ধ করেন। ইতিহাস ভুলে যাবেননা। দেশের মানুষ কাউকে ক্ষমা করেনি। দেয়ালের লিখন পড়ুন।

সাধারণ মানুষের মনের ভাষা বুঝতে শিখুন। আজকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বেশি কেনো।তি‌নি বলেন, সরকার সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে। তারা মানুষের টাকা নিয়ে বিদেশে পাচার করছে। আর প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বিদুৎ আছে পাবেন। কিন্তু আমাদের তো চলে না। দিনে পাঁচ ছয় বার লোডশেডিং হয়। মানুষ অতীষ্ঠ। দেশের কলকারখানা বন্ধ হওয়ার উপক্রম। কলকারখানা বন্ধ হলে লাখ লাখ কর্মী বেকার হবে। আজকে তারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের অবসরে পাঠাচ্ছে।মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকারের আর দেশ শাসনের কোনে অধিকাপ নেই।

ভালোই ভালোই পদত্যাগ করে সরে পড়ুন। নইলে দেশের মানুষ জানে কিভাবে সরাতে হয় জনগণ জানে। অবিলম্বে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেন তিনি।সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক মোঃ আবদুস সালাম বলেন, খেলা শুরু হয়ে গেছে। আর আওয়ামী লীগ হাবুডুবু খাচ্ছে। আওয়ামী লীগ লেজ গুটিয়ে দৌড় দিছে। তাদেরকে এখন তারেক রোগে পাইছে। তারেক রহমান দেশে আসলে আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মীকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।

দেশের আসন্ন দুর্ভিক্ষ থেকে বাঁচতে হলে সরকারকে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়ার আহ্বান জানান তিনি। ৫ জনকে হত্যা করেছেন। প্রয়োজনে বুক পেতে দিবো। কিন্তু আপনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। যারা সমাবেশে যাওয়ার আগেই বাস চলাচল বন্ধ করে দেন তাদের কালো তালিকা করা হবে। আমরা অনেক সহ্য করেছি আর নয়। আমরা যেকোনো ত্যাগ শিকারে প্রস্তুত। দেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচাতে আওয়ামী লীগের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে।দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরুর কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের আগেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন ঢাকা মহানগরীর থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

কয়েক হাজার নেতাকর্মী সমাবেশে জড়ো হওয়ায় ফকিরাপুল মোড় থেকে কাকরাইলের নাইটিংগেল মোড় পর্যন্ত সড়কের দক্ষিণ দিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিলো। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় এই এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিপুল সংখ্যক পুলিশ।মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তৃতা চলাকালে সমাবেশে আগত নেতা কর্মীদের মধ্যে কিছুটা বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরি হয়। আমানুল্লাহ আমান এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কথা বলেন। এছাড়াও মীরজাফফরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য চলাচলে সমাবেশে ড্রোনের উপস্থিতি দেখা যায়। এনিয়েও নেতাকর্মীদের মধ্যে বেশ উৎসাহ দেখা গেছে।

ঢাকা দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু ও উত্তরের সদস্য সচিব মোঃ আমিনুল হকের পরিচালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন  কেন্দ্রীয় নেতা আমান উল্লাহ আমান, আবুল খায়ের ভুইয়া, জয়নুল আবদীন ফারুক, মীর সরফত আলী সপু, নাজিম উদ্দিন আলম,  যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল, কৃষকদলের হাসান জাফির তুহিন, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও আব্দুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী ও রাজীব আহসান, মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের মোঃ আব্দুর রহিম, শ্রমিক দলের হুমায়ূন কবির খান, জাসাসের জাকির হোসেন রোকন, ছাত্রদলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here