সিদ্ধিরগঞ্জে বিধবার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে

0
সিদ্ধিরগঞ্জে বিধবার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জে এক বিধবার বসতবাড়ীর অনাপত্তি দলিল করে দেওয়ার কথা বলে সাড়ে ৮ লাখ টাকা আতœসাতের অভিযোগ উঠেছে শহিদুল ইসলাম নামে এক প্রতারকের বিরুদ্ধে। প্রতারকের খপ্পরে পড়ে নগদ টাকার পাশাপাশি বাড়ী হারানোর আতঙ্কে ভোগছেন ভোক্তভূগী বিধবা।

জানা গেছে, সানারপাড় এলাকার মৃত আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী সাহিদা আক্তারের কাছ থেকে প্রায় দেড় বছর আগে সাড়ে ৮ লাখ টাকা নেয় সোনারগাঁ থানার কাজীপাড়া বড়গাঁও এলাকার আইয়ুব আলী ফকিরের ছেলে শহিদুল ইসলাম ফকির। শহিদুল ইসলাম ডেমরা থানার বক্সনগর এলাকার ইন্টারনেট ব্যবসায়ী নূরনবীর ভগ্নিপতি। নূরনবীর সাথে পরিচয়ের সূত্র ধরেই সাহিদা আক্তার শহিদুল ইসলামকে টাকা দেন। সাহিদা আক্তার বলেন, আমার স্বামী গাজীপুর জেলার কোনাবাড়ী থানার জরুল গ্রামে ৭ শতাংশ জমিতে একটি আধাপাকা বাড়ী নির্মাণ করেন।

আমি স্বামীর সঙ্গে সে বাড়ীতে থাকতাম। স্বামীর মৃত্যুরপর বাড়ীটি ভাড়া দিয়ে দুই বছরের একমাত্র ছেলেকে নিয়ে সানারপাড় পিতার বাড়ীতে চলে আসি। আমার স্বামীর মৃত্যুর পর জানতে পারি ওই বাড়ীটি গাজীপুর বনবিভাগের অধিনে। স্বামীর মৃত্যুর পর বিভিন্ন বিপদে আপদে নূরনবী আমাকে সাহয্য সহযোগীতা করে আসছে। সেসুবাদে আমি বাড়ীর বিষয়টি তাকে জানাই। তখন নূরনবী তার ভগ্নিপতি শহিদুল ইসলামকে আমার সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলে এই সমস্যা তিনিই সমাধান করতে পারবেন। তবে টাকা খরচ করতে হবে।

তাতে আমি রাজি হলে বনবিভাগ থেকে আমার বাড়িটি অনাপত্তি দলিল করে দেওয়ার কথা বলে নূরনবীর উপস্থিতিতে শহিদুল ইসলাম আমার কাছ থেকে সাড়ে ৮ লাখ টাকা নেয়। প্রায় দেড় বছর গত হলেও বনবিভাগ থেকে অনাপত্তি দলিল করে আনতে পারেনি। সর্বশেষ কিছুদিন আগে শহিদুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন অনেক চেষ্টা করেছি আমার পক্ষে আর সম্ভব না। তখন আমি টাকা ফেরত চাইলে আমাকে নানান হুমকি ধমকি দিচ্ছে।

সাহিদা আক্তারের অভিযোগ, আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে নূরনবী ও তার ভগ্নিপতি শহিদুল ইসলাম ধোকা দিয়ে টাকা নিয়েছে। বাড়ীটি বনবিভাগ থেকে অনাপত্তি না পেলে ওই বাড়ীটি বেদখল হয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রতারকের খপ্পরে পড়ে একদিকে টাকা আরেক দিকে বাড়ী হারানোর ভয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন বিধবা সাহিদা আক্তার। তাই তিনি প্রতারক শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এবিষয়ে নূরনবী বলেন, আমার উপস্থিতিতে টাকা নিয়েছে তা সত্য। আমার ভগ্নিপতি আমাকে প্রতারিত করবে তা কল্পনাও করেনি। সাহিদা আক্তার তার বিরুদ্ধে আইনি প্রদক্ষেপ নিলে আমি স্বাক্ষী দিব। অভিযুক্ত শহিদুল ইসলামের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করলে রিং হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here