না’গঞ্জে মাদক বিক্রি ও সেবনে বাধা দেয়ায় হোসিয়ারী শ্রমিক রনিকে হত্যার পর গুম

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নিজস্ব সংবাদদাতা :নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার আলআমিন নগর দিয়া  সিকদার বাড়ি এলাকায় মাদক বিক্রি ও সেবনে বাধা দেয়ায় কবির হোসেনের ছেলে রনিকে হত্যার পর গুম করার
অভিযোগ উঠেছে।

খোজ নিয়ে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা এলাকার গুপচর বারির টেক এলাকার মান্নানের ছেলে রিপন নিতাইগঞ্জ তামাক পট্টি এলাকার মালেকের ছেলে ফেমাজ, সৈয়দপুর ফকির বাড়ি এলাকার সামছুর ছেলে কালাই, সুরুজ মিয়ার ছেলে কাদির, দাদন ফকিরের ছেলে জীবন  ফকির, জাকির হোসেনের ছেলে হৃদয়, সিরাজ মাদবরের ছেলে বিল্লাল, হোসেন মাদবরের ছেলে বাবু, সোহেল গংরা এলাকায় প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি ও সেবন করলে তা প্রতিবাদ করেন রনি।

গত ১১ জুলাই রাত আনুমানিক ১১ টা ৩০ মিনিটে রনি হোসিয়ারির কাজ শেষে সৈয়দপুর পশ্চিম রেম্বু ডাইংয়ের পেছনের কাচা রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে জনতাবদ্ধে উক্ত মাদক ব্যবসায়ীরা রনির উপর হামলা চালায় ও ধারালো দেশিয় অস্র, রড, কাঠের ডাসা দিয়ে এলোপাথারিভাবে মারধোর করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। এসময় রনির ডাকচিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে বাড়িতে দিয়ে যায়।

এদিকে আবারো উক্ত মাদক ব্যবসায়ীরা গত ১৪ জুলাই রাত ৮ টায় রনির পিতার দোকানের সামনে থেকে অপহরন করে নিয়ে যায়। রনির পিতা মাতা রনিকে অনেক খোজাখুজি করে না পেয়ে রনির মা গত ২১ জুলাই নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি  মামলা দায়ের করেন। যার নং ২৫(৭) ২০২০ ধারা ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৫/৩০৭/ ৩২৬/৫০৬ দঃ বিঃ।

কিন্তু রনিকে আর খুজে না পাওয়া তার মা বাবার ধারনা উক্ত আসামিরা রনিকে হত্যার পর গুম করে ফেলা হয়েছে। এ ব্যপারে গত ৫ আগষ্ট হোসিয়ারি শ্রমিক রনির মা সেলিনা বেগম বাদি হয়ে নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী “ক” অঞ্চল আদালতে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৮/১০ জনকে অজ্ঞাত রেখে মামলা করেন। যার নং ৭৭/২০২০ ধারা ৩০২/২০১/৩৬৪/৩৬৫/৩৬৮/৩৪।

এব্যপারে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান এর সাথে কথা হলে তিনি জানান মহামান্য আদালতের একটি পিটিশন মামলার আদেশ নামা পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা
গ্রহন করা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here