প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ ” করোনা সময়ে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েও মানুষ নামের নিকৃষ্ট পশুদের দানবীয় উল্লাস ” মেয়েটির নাম হীরা মনি। অতি আদরের সন্তানকে মানুষ হীরা, মনি,মুক্তা চুনি পান্না নাম রাখে।। লক্ষীপুরের পালের হাট স্কুলের নবম শ্রেনীর বেশ মেধাবী,প্রজ্ঞাবান ছাত্রী হীরা মনি। মেয়েটির এবং বাবা মায়ের এবং স্কুলের শিক্ষক দের আশা মেয়েটি ভবিষ্যতে ভাল কিছু একটা হবে এলাকার সুনাম বাড়িয়ে দেবে।
সে আশা নিয়ে স্বপ্ন জাল বুনে চলেছিল মেয়েটি। এ করোনা সময়ে যখন সবাই ঘরে বন্দী বাড়ি থেকে বের হওয়া নিষিদ্ধ সে সময় ক্যানসার আক্রান্ত বাবা হীরাকে তার মামা বাড়িতে রেখে মা বাবা দুবোন ঢাকায় আসে বাবাকে ক্যামো দেয়ার জন্য। হীরা মামা বাড়িতেই ছিল গত শুক্রবার দিনই সে নিজ বাড়ি গোপীনাথপুর আসে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বই খাতা নিয়ে যেতে। এ সময়ের মাঝেই ঘাপটি মেরে থাকা পিশাচেরা ওর উপর ঝাপিয়ে পরে। দুর্বৃত্তরা মেয়েটিকে ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হয়নি তারা মেয়েটিকে গলাটিপে হত্যা করেছে।
তারা হয়তো ভেবেছে মেরে ফেললে সাক্ষী থাকবেনা কতো নির্বোধ পাষান্ডের দলেরা। মানুষ কতোটা নির্মম হলে পাশবিক নির্যাতনের পরে গলাটিপে মেরে ফেলার মতো সাহস পায়। লক্ষী পুর সদর থানায় মামলা হয়েছে, আসামী গ্রেফতার হবে,বিচার হবে,শাস্তি হবে কিন্তু যে মেধা পৃথিবী থেকে হারিয়ে গেলো,যে মায়ের বুক খালি হলো, তা কি দিয়ে পূরন হবে।ক্যানসার আক্রান্ত বাবা কি পারবে মেয়ে র ভয়াবহ সংবাদ সইতে? নারীদের উপর নির্যাতনের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধিত ২০০৩ প্রনয়ন করা হয়েছে,মামলা হচ্ছে শাস্তি হচ্ছে, কিন্তু নির্যাতন তো কমছেনা।
আমরা আইনজীবীদের দাবী আর একটি মেয়েও যেন পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যু বরন না করে। আমরা লক্ষীপুরের হীরা মনি হত্যা মামলার আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার সহ দ্রুত বিচার আইনের আওতায় এনে মামলা নিষ্পত্তির জন্য দাবী জানাচ্ছি। আমরা ভুলে যাই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের জন্য মৃত্যুর কি শাস্তি রয়েছে। তাই স্মরন করিয়ে দেয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন২০০০ সংশোধিত ২০০৩. #ধর্ষণ, ধর্ষণজনিত কারণে মৃত্যু, ইত্যাদির শাস্তি ৯ (১) যদি কোন পুরুষ কোন নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন, তাহা হইলে তিনি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন৷ ব্যাখ্যা৷- যদি কোন পুরুষ বিবাহ বন্ধন ব্যতীত
১ [ষোল বৎসরের] অধিক বয়সের কোন নারীর সহিত তাহার সম্মতি ব্যতিরেকে বা ভীতি প্রদর্শন বা প্রতারণামূলকভাবে তাহার সম্মতি আদায় করিয়া, অথবা ২[ষোল বৎসরের] কম বয়সের কোন নারীর সহিত তাহার সম্মতিসহ বা সম্মতি ব্যতিরেকে যৌন সঙ্গম করেন, তাহা হইলে তিনি উক্ত নারীকে ধর্ষণ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন৷ (২) যদি কোন ব্যক্তি কর্তৃক ধর্ষণ বা উক্ত ধর্ষণ পরবর্তী তাহার অন্যবিধ কার্যকলাপের ফলে ধর্ষিতা নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটে, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অন্যুন এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন৷
(৩) যদি একাধিক ব্যক্তি দলবদ্ধভাবে কোন নারী বা শিশুকে ধর্ষন করেন এবং ধর্ষণের ফলে উক্ত নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটে বা তিনি আহত হন, তাহা হইলে ঐ দলের প্রত্যেক ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অন্যুন এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন৷।