মান্নানের নির্বাচনী প্রচারনায় বৈসম্যবিরোধী হত্যা মামলার আসামী যুবলীগ নেতা খোকন

0
মান্নানের নির্বাচনী প্রচারনায় বৈসম্যবিরোধী হত্যা মামলার আসামী যুবলীগ নেতা খোকন

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ আগামি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপির মনোনিত প্রার্থীদের প্রচার প্রচারনা চলছে বেশ জোড়ে সোড়ে। তবে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কারনে নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় পর্যায়ের মনোনিত প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচার প্রচারনায় কিছুটা শিথিল করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে চেয়ারপার্সনের সুস্থতায় মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করে রাজপথে সক্রিয় রয়েছেন প্রার্থীরা।

তবে নারায়ণগঞ্জ তিন আসনের প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নান মিলাদ ও দোয়ার পাশাপাশি নিজের নির্বাচনী প্রচারনায় চালিয়ে যেতে একটুও কারপন্যতা করছেন না। সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হলো তার নির্বাচনী প্রচারনায় দলীয় নেতাদের পাশাপাশি আওয়ামী যুবলীগের নেতাদেরও অংশ গ্রহন করতে দেখা যাচ্ছে। অথচ তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার উপর হামলা ও হত্যার অপরাধে একাধিক মামলার আসামি।

শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর সম্ভুপুরা স্কুল মাঠে বিএনপির প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নানের নির্বাচনী প্রচারনায় সম্ভুপুরা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের যুবলীগ নেতা জুবে আলম খোকন প্রয়াত নাছির মেম্বারের ছোট ভাই  মিছিলের সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। আবার কখন মিছিলের মাঝে থেকে শ্লোগান দিতে দেখা গেছে যা বর্তমান সময়ের জন্য খুবই দুঃখ জনক।

কে এই জুবে আলম খোকন, সোনারগাঁ থানাধীন শম্ভুপুরা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার প্রয়াত নাছির ওরফে নাছির মেম্বার। যিনি এক সময় চরকিশোরগঞ্জ এলাকার কথিত গডফাদার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। যার নিয়ন্ত্রনে ঐ এলাকায় হত্যা, গুম, খুন, লুট, ডাকাতি, জমি দখল, চাঁদাবাজী সহ বালু খেকো নেতাদের গডফাদার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। আর তার এই সকল কর্মকান্ড পরিচালনা করতো আপন ছোট ভাই জুবে আলম খোকন। নাছির মেম্বারের মৃত্যুর পর সব কিছু নিয়ন্ত্রেনের দায়িত্ব আসে তার উপর।

আওয়ামী ঘরনার হওয়ায় বড় ভাইয়ের মৃত্যুর পর সাবেক সাংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত ও মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মহিউদ্দিনের আশির্বাদে হয়ে উঠেছেন অপ্রতিরোধ্য। এলাকায় চোর সিন্ডিকেট, বালুমহাল দখল, নৌপথে ডাকাতি ও বেশ কয়েকটি নারী কেলেংকারীর হোতা এই জুবে আলম খোকন। এমন অভিযোগ সোনারগাঁ উপজেলার চর হোগলা এলাকাবাসীর।

আরো জানা যায়, সোনারগাঁ উপজেলায় চর হোগলা গ্রামটি মুন্সিগঞ্জ সদর থানা এলাকার পাশেই। আর এ কারনে মুন্সিগঞ্জ জেলার বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতাও চর হোগলার বিভিন্ন বিষয়ে মাথা ঘামান। আর এ প্রভাবশালী ব্যাক্তিদেরই একজন মুন্সিগঞ্জ সদর থানার আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন।

অভিযোগ রয়েছে মহিউদ্দিনের শেল্টারে ধলেশ্বরী, মেঘনা ও মোহনপুর চরাঞ্চলে রয়েছে জুবে আলম খোকন বাহিনীর তৎপরতা। অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করে ঐএলাকায় নিজে থাকার জন্য গড়ে তুলেছেন বিশাল অটালিকা। অবৈধভাবে অর্থ-উপার্জন করে যে অটালিকাটি গড়ে তুলেছেন সেটা সোনারগাঁয়ে এর রকম আর কারো নেই।

শুধু তাই নয় অবৈধ অর্থ দিয়ে চাচা ভাতিজা মিলে ৫টি বাড়ি, ড্রেজার প্রায় ২০টি, বলগেইট প্রায় ১৮টি সহ বিভিন্ন জায়গায় সম্পদের পাহার গড়ে তুলেছে বলে অভিযোগ উঠে আসছে। আওয়ামীলীগের পতনের পর নিজের রামরাজত্ব ধরে রাখতেই জুবে আলম খোকন এখন আশ্রয় নিচ্ছেন বিএনপি নেতাদের কাছে।

এ বিষয় আজহারুল ইসলাম মান্নান বলেন, গত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে আমি অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছি যা আপনারাও জানেন। তবুও আওয়ামীলীগের  সাথে আতাঁত করিনি। আর এখন তাদের সাথে আমার বন্ধুত্ব করতে হবে এটা মানা যায় না। আমার নির্বাচনী প্রচারনায় যদি যুবলীগের কোন নেতা বা কর্মী অংশ গ্রহন করে থাকে সেটা আমি জানি না আর দেখিওনি।

তিনি আরও বলেন, আমার নির্বাচনী প্রচারনায় বিএনপির কোন নেতা যদি আওয়ামীলীগ বা যুবলীগের কোন নেতাকর্মীদের আনে আর এটার প্রমান পাই তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here