প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন এবং হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন আট দিন পিছিয়ে ৩০ ডিসেম্বর আয়োজনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন প্যানেল থেকে নির্বাচন করতে যাওয়া প্রার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার (০৪ নভেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জকসুর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রার্থীরা।
আগের তফসিল অনুযায়ী, ২২ ডিসেম্বর নির্বাচনের ভোট হওয়ার কথা ছিল। ভূমিকম্পের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে তফসিল অনুযায়ী ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়নি। ডোপ টেস্ট না হওয়ার কারণে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়নি। এজন্য, সকল কাজ সম্পন্ন করে জকসু নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করার জন্য ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আনিসুর রহমান।
ক্ষোভ প্রকাশ করে ছাত্রদল,ছাত্র অধিকার এবং সাধারণ শিক্ষার্থী সমন্বিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী একেএম রাকিব বলেন, সাতাশ নভেম্বর থেকে বাইশ ডিসেম্বর, এখন বাইশ ডিসেম্বর থেকে পিছিয়ে ত্রিশ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। আমার শঙ্কা হয় নির্বাচন কমিশন আদো নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে কিনা। রাকিব আরো বলেন, নির্বাচন কমিশন যদি নির্বাচন বানচাল করতে চায় এটা তাদের ভ্রান্ত ধারণা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নির্বাচন এটি।
দীর্ঘ দিনের ত্যাগ-সংগ্রামের ফল জকসু নির্বাচন। এটি কোনো ভাবে পিছানোর সুযোগ নাই। শিবির সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান’ প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেন, বারবার জকসু নির্বাচন পেছানোর মাধ্যমে নির্বাচন অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।নির্বাচন পেছানোর কোনো যৌক্তিকতা দেখছি না আমরা। কেন নির্বাচন পেছানো হয়েছে, এর স্পষ্ট কারণ বর্ণনা না করেই এভাবে ৮ দিন পিছিয়ে দেওয়া যৌক্তিক হতে পারে না।
রিয়াজুল আরো বলেন, সিন্ডিকেট শেষে বিশেষ বৃত্তি নিয়ে তাদের কোনো স্পষ্ট বক্তব্য নেই। আমাদের কথা স্পষ্ট—একটা দিয়ে অন্যটা থেকে বঞ্চিত করার কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না, ইনশাআল্লাহ। ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী মাহমুদ হোসেন তানজীদ বলেন, আমাদের প্যানেলের পক্ষ থেকে দাবি ছিলো জানুয়ারি প্রথম সপ্তাহে জকসু নির্বাচন করা হোক, যাতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণার পর্যাপ্ত সুযোগ পায়।
ভূমিকম্পের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের সাথে অনেক প্রার্থীর একটা কমিউনিকেশন গ্যাপ তৈরি হয়েছে, যেটা রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে তেমন প্রভাব পড়ে না। কিন্তু দুঃখের বিষয় প্রশাসন ডিসেম্বরে নির্বাচন দিচ্ছে, কোনো এক রহস্যময় কারণে নাকি কাউকে খুশি করতে? তিনি আরো বলেন, ক্লাস-পরীক্ষা ও নির্বাচন সবকিছুর জন্য তারিখ নির্ধারিত হলেও সম্পূরক বৃত্তি বিষয়ে ধোঁয়াশা থেকে গেলো, অথচ সম্পূরক বৃত্তি আদায়ের জন্যেই কিন্তু জকসু নির্বাচন।
সম্পূরক বৃত্তির মতো মৌলিক দাবি পূরণ না করে তড়িঘড়ি করে নির্বাচন দেয়া একটা অযোক্তিক সিদ্ধান্ত। শিক্ষার্থীদের আর্থিক নিরাপত্তা না দিয়ে বাকি সবকিছুই অর্থহীন এই মুহূর্তে।





