প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ জুলাই গণ অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত ও পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তবে নিজের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শেখ হাসিনা। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে নামের মধ্যে ‘আন্তর্জাতিক’ শব্দ থাকলেও আন্তর্জাতিক বলে কিছু নেই এবং এ আদালত নিরপেক্ষ নয় বলে অভিযোগও করেছেন তিনি।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) রায়ের পর এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। রায়ের পর শেখ হাসিনা বিবৃতিতে বলেন, ‘এর মাধ্যমে একটি অনির্বাচিত সরকারের উগ্রপন্থি ব্যক্তিদের বেপরোয়া ও হত্যার মানসিকতা বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।’তার বিরুদ্ধে আনা পাঁচটি অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তা পুরোপুরি অস্বীকার করছি।
গেল বছরের জুলাই ও আগস্টের সহিংসতায় আমি দুই পক্ষের প্রতিটি মৃত্যুর জন্যই শোকাহত ছিলাম। ওই সময় আমি কিংবা অন্য কোনো রাজনৈতিক নেতা কোনো আন্দোলনকারীকে হত্যার নির্দেশ দেননি। তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের ন্যায্য সুযোগ দেওয়া হয়নি। আমার অনুপস্থিতিতে যে বিচারকাজ হয়েছে, সেখানে আমার পছন্দের কোনো আইনজীবীও ছিলেন না। নামের মধ্যে ‘আন্তর্জাতিক’ শব্দ থাকলেও আইসিটিতে আন্তর্জাতিক বলে কিছু নেই। এ আদালত নিরপেক্ষও নয়।
শেখ হাসিনা অভিযোগ করেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কেবল আওয়ামী লীগের লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। প্রধান উপদেষ্টার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘মুহাম্মদ ইউনূসের বিশৃঙ্খল, সহিংস এবং সমাজকে পেছনে ঠেলে দেওয়া প্রশাসনের অধীনে যে কোটি কোটি বাংলাদেশি দুঃখ–কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন, তাদের বোকা বানানো যাবে না। ট্রাইব্যুনালকে তথাকথিত উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘এই বিচার কখনোই ন্যায়বিচারের উদ্দেশ্যে করা হয়নি।
এর উদ্দেশ্য ছিল আওয়ামী লীগকে বলির পাঁঠা বানানো এবং ড. ইউনূসের ব্যর্থতা থেকে বিশ্বের দৃষ্টিকে ঘুরিয়ে দেওয়া। বিচারের মুখোমুখি হতে ভয় পান না মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যথাযথ আদালতে বিচার হতে হবে, যেখানে সব নথিপ্রমাণ নিরপেক্ষভাবে মূল্যায়ন ও যাচাই করা যাবে। এ কারণেই আমি অভিযোগসমূহ হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে উপস্থাপন করতে বারবার অন্তর্বর্তী সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছি।’





