দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে তহশিলদারের অপসারনের দাবীতে মানববন্ধন

0
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে তহশিলদারের অপসারনের দাবীতে মানববন্ধন

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (তহশিলদার) এর বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুুষ বানিজ্যের অভিযোগে তার অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন  স্থানীয় বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার দুপুর ১১.৩০ মিনিটে উপজেলার এলুয়াড়ী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সামনে সহকারী ভূমি কর্মকর্তা জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন করেন তারা।

এসময় বক্তব্য রাখেন, ভুক্তভোগী মো. মাসুদ রানা, মাহমুদুল হক, হাফেজ মো. রায়হান, সোহানুর রহমান সহ অনেকে। মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান একজন ধুর্ত, দুর্নীতিবাজ ও ঘুষখোর। তার অনিয়ম ও ঘুষের কারবারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এই এলাকার মানুষ। এলাকার সাধারণ মানুষ ভুমি অফিসে এলে বিভিন্ন ভাবে হয়রানীর স্বীকার হয়।এই তহশিলদারের অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষ বানিজ্যের প্রতিবাদে গত ৮ অক্টোবর দিনাজপুর জেলা প্রশাসক বরাবর একটি অভিযোগ প্রদান করা হলেও এর কোন প্রতিকার মেলেনি।

তারা আরও বলেন, ওই এলাকার ২৯৮ খতিয়ানে ৩৩৮২ নং দাগে মূল হোল্ডিংয়ে কোন জমি না থাকলেও জাল খতিয়ান, খাজনা ও মাঠপর্চা তৈরি করে ৬ শতাংশ জমি অন্যের নামে খারিজ প্রদান করেন। উষাহার মৌজায় ৩০৩ খতিয়ানের ৩০৩ নং হোল্ডিংয়ের সম্পত্তির বাংলা ১৪৩০ সন পর্যন্ত খাজনা পরিশোধ থাকা সত্বেও ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত খাজনা বকেয়া দেখিয়ে ১৫ হাজার টাকা দাবি করেন। দর কষাকষির পরে মোবাইল ব্যাংকিয়ের মাধ্যমে ২হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে মাত্র ৫১৬ টাকার খাজনার রশিদ দেন।

অপরদিকে উত্তর জগন্নাথপুর মৌজার ১১৮ হোল্ডিংয়ে ১৪৩০সন পর্যন্ত খাজনা পরিশোধ থাকলেও তিনি পূর্বের বকেয়া দেখিয়ে দশ হাজার টাকা দাবি করেন। একই ভাবে তিনি মোটা অংকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে এলুয়াড়ী মৌজার ৬৩, ৬৮, ৯৮, ৩৯৯, ৪৩৭ খতিয়ানসহ বিভিন্ন জমির আংশিক খাজনা পরিশোধ দেখান। এতে অসহায় মানুষেরা খাজনা পরিশোধ করলেও নামমাত্র খাজনা পরিশোধ করে উদ্বৃত্ত টাকা পকেটে ভরেন এই কর্মকর্তা।

প্রতিবাদ করলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় বলে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়না। দ্রুত এই কর্মকর্তাকে অপসারণ করা না হলে এর পরে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পর্কে আমি কিছু জানিনা। জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দিয়েছে তাও জানিনা।

এসব অভিযোগ সত্য নয়। কারো কোন কাজে বেঘাত ঘটেছে তাই উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তারা আমার বিরুদ্ধে এসব করছে। তিনি বলেন, মোবাইলে বিভিন্ন প্রয়োজনে লেনদেন হতেই পারে।  বিষয়টি নিয়ে কথা বললে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ছামিউল ইসলাম জানান, আমি ফুলবাড়ীতে সবেমাত্র যোগদান করেছি। কাজেই এই বিষয়ে কিছু জানা নেই। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here