প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে নারায়ণগঞ্জে মনোনয়ন প্রত্যাশিদের সংখ্যা বেড়েছে। সেই সাথে বেড়েছে মনোনয়ন প্রত্যাশিদের মধ্যে নানা নোংরা রাজনীতি। আগামী নির্বাচনে দলের টিকিট হাতিয়ে নিতে যেন নিজ দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে আওয়ামীলীগ-বিএনপির বিরোধী রাজনীতি শুরু করেছে।
এদিকে, গত বছরের ৫ আগষ্ট স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতনের পর কিছু নব্য বিএনপির জন্ম হয়েছে। যারা অর্থের দাপটে গুটি কয়েক নেতাদের বেতনভুক্ত করে তাদের সাথে নিয়ে চষে বেড়াচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত। অথচ ৫ আগষ্ট স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পূর্ব মুর্হুত পর্যন্ত তারা ছিলেন আওয়ামীলীগের দালাল। অথচ তাদের মধ্যে কেউ কেউ চাঁদাবাজ ও নারী কেলেঙ্কারীর দোহাই দিয়ে সস্তা সমর্থন কুড়াতে চাইছে বলে দাবি করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
এ বিষয় বিএনপির নেতাকর্মীরা বলেন, ৫ আগষ্টের পর বিএনপিতে কিছু আগাছার আর্বিভাব হয়েছে। এরা দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার জন্য সাংগঠনিক নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা না করে নিজেদের মনগড়া নিয়মে চলে তূণমূলকে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলছে। এতেও যখন কাজ হচ্ছে না তখন নিজেদের মনগড়া কিছু বক্তব্য দিয়ে জনসমর্থন হাসিলের চেষ্টা করছে। কখনো বলছে নারী কেলেঙ্কারীতে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে নারায়ণগঞ্জের একটি ঐতিহ্যবাহি পরিবার এব সেটা ৩০ লাখ টাকার বিনিময়ে।
এখন আমাদের প্রশ্ন আপনার চরিত্র যদি ভাল হয় তাহলে নারী দিয়ে আপনাকে কিভাবে হয়রানী করা হবে। আর চাঁদাবাজীর প্রশ্ন তুলেছেন, আমরা বিএনপির একজন নগন্য কর্মী হিসেবে আপনাদের কাছে প্রশ্ন রাখলাম সেলিম ওসমান আর শামীম ওসমানের আমলে ব্যবসায়িক সংগঠন থেকে নানা উছিলায় যে অর্থ নেয়া হতো সেটাকে আপনারা কি বলবেন।
বিএনপি নেতা ও কর্মীরা আরও বলেন, আপনারা ব্যবসায়ি আর বিগত দিনে একজন ব্যবসায়িকে নারায়ণগঞ্জের ৫ আসনের দায়িত¦ দিয়ে দেখেছে ভোটাররা, তিনি কত উন্নয়ন করেছেন। বর্তমানে আপনাদের প্রতিষ্ঠানে যেতে হলে বিভিন্ন স্তরের সিকিউরিটি গেইট পার হয়ে, নানা প্রশ্নের জবাব দিয়ে খাতায় নাম লিখে প্রবেশ করেও প্রায় সময়ই আপনাদের দেখা পাওয়া সম্ভব হয় না। আর আপনারা এমপি হলে সাধারণ ভোটারদের হিসেব তো পরের কথা দলের নেতারাই আপনাদের দেখা পাবে না ঠিক মত।
আমরা গত ১৬ বছর অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছি, তবুও দল ও দেশের প্রয়োজনে রাজপথ ছাড়িনি। আন্দোলন সংগ্রাম করে যতটুকু অর্জন করেছি তা আপনাদের মত হাইব্রিডদের হাতে বির্সজন দিবোনা।





