প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতনের পর নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে নয়া রাজনৈতিক ব্যক্তিদের আর্বিভাব যেন বেড়েই চলেছে। আর তাদের আগমনের ফলে বিগত ১৬ বছরে দলের পক্ষে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে অংশ গ্রহন করার অপরাধে জেল জুলুম সহ্য করা নেতা ও কর্মীদের আন্দোলনের ফসল গিলে খেতে চাইছে নয়া দামানরা।
বিগত দিনে আন্দোলন সংগ্রামে যে সকল নেতাকর্মীরা রাজপথে অংশ গ্রহন করে নানা হয়রানীর শিকার হয়েছেন খোদ তারাই বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে গেছে। কারন জেল জুলুম সহ্য করে দল ও দেশের গণতন্ত্র উদ্ধার আন্দোলনের ফসল ছাড়া শুন্য হাতে ঘরে ফিরতে হতে পারে এই আশংকায়।লক্ষ্য করে দেখা যায়, স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতন আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির অধিনে প্রথম সারির নেতাদের মধ্যে বার বার জেল জুলুম সহ্য করা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাংসদ এ্যাড. আবুল কালাম,
বর্তমান আহবায়ক এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, যুগ্ম-আহবায়ক আবুল কাউছার আশা, যুগ্ম-আহবায়ক এ্যাড. জাকির হোসেন, সহ-সভাপতি হাজী ফারুক হোসেন সহ অনেক নেতাকেই কারাগারে নিক্ষেপ করেছে স্বৈরাচারী সরকার।দলীয় নেতাকর্মীরা দাবি করে বলেন, সবচেয়ে দুঃখজনক ও গণমাধ্যম কর্মীদের দৃষ্টি গোচর হয়েছে এবং প্রকাশ্যে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক আবুল কাউছার আশা।
যার হাতে হ্যান্ডকাফ পড়িয়ে তৎকালীন সদর থানার ওসি কামরুলের পাশবিক নির্যাতন, জনসম্মুখে টুটি চেপে ধরে অমানবিক ভাবে গ্রেফতার হওয়া মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু,আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহন করার অপরাধে পাঞ্জাবীর কলার ধরে টেনে হেঁচড়ে নিয়ে যাওয়া এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান, দলীয় সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে প্রচারনায় নামার অপরাধে হার্টের রোগী হওয়া সত্ত্বেও গ্রেফতার হন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, আর অসুস্থ থাকার পরেও বাড়ি থেকে মিথ্যা মামলায় তুলে নিয়ে যাওয়া মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক ৩ বারের সাংসদ এ্যাড. আবুল কালামকে। সেই সাথে পিতা আবুল কালামের পাশে পুত্র আবুল কাউছারকে মিথ্যা মামলায় আটক করে কারাগারে রাখা।
শুধু তাই নয় বিএনপি করার অপরাধে প্রতিটি নেতা ও কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে ছোট শিশু থেকে বৃদ্ধা কেউ বাদ যায়নি প্রশাসনের চোঁখ রাঙ্গানী থেকে শুরু করে অশ্লিল কথা বার্তা থেকেও। সেই সময় নেতাকর্মীদের পাশে দেখা মিলেনি বর্তমান নয়া দামান খ্যাত মনোনয়ন প্রত্যাশী অনেক নেতাদের। তাদের মধ্যে অনেকেই স্বৈরাচারী সরকারের অধিনে ব্যবসা করে নিজের অবস্থা করেছেন পাকাপোক্ত। অনেকেই করেছেন ক্ষমতাশীনদের সাথে আতাঁত করে বিএনপির বিরুদ্ধে নানা কুটকৌশল।
আবার অনেকেই বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে বেঘাত ঘটাতেই দাঁড়িয়েছিলেন ক্ষমতাশীনদের কাতারে। আজ পালাবদলের সময়ের সাথে তারাও গিরগিটির ন্যায় নিজেদের রং পালটাতে শুরু করেছে। দলের দুঃসময়ে তাদের কোন অবদান না থাকলেও অর্থের দাপটে দলীয় নেতাদের আন্দোলনের ফসল নিতে চাইছে তাদের ঘরে যা কখনই সম্ভব হবে না। এবিষয় দলীয় নেতকর্মীরা বলেন, প্রয়োজনে সকল বিভেদ ভুলে আমরা ঐক্যবদ্ধ হবো। তবুও কোন ভূইফোড় ব্যাবসায়ী নেতাদের হাতে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের ভবিষ্যৎ তুলে দিবোনা।





