প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ শারদীয় দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা চারদিনের বন্ধকে কেন্দ্র করে নগর ছাড়ছেন নারায়ণগঞ্জবাসী। ফলে বাস কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের ভিড় ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহনের চাপও স্বাভাবিক দিনের চেয়ে দ্বিগুণ বেড়েছে। এতে মহাসড়কটিতে দিনব্যাপী তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।
বুধবার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সাইনবোর্ড, শিমরাইল ও কাঁচপুর বাস কাউন্টারে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।সরেজমিন ঘুরে দেখা গিয়েছে, প্রতিটি টিকিট কাউন্টারে যাত্রীরা উপচে পড়া ভিড়। তবে সড়কে দিনব্যাপী যানজট থাকায় গাড়ির সংকট দেখা গিয়েছে। আর এই পরিবহন সংকটের সুযোগে বাড়তি ভাড়া নিচ্ছেন কিছুসংখ্যক বাস চালকরা।এদিকে বৃষ্টিতে দড়িকান্দি এলাকা গাড়ি বিকল ও যানবাহনের বাড়তি চাপে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে এখন পর্যন্ত মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে তীব্র যানজট লেগে আছে।
এতে চরম ভোগান্তি পড়েছেন যাত্রীরা। তবে বিকেল থেকে ধীরে ধীরে গাড়ি পারাপার হতে দেখা যায়। চট্টগ্রামে যাবার উদ্দেশে জেদ্দা এক্সপ্রেসের স্লিপার টিকিট কেটেছেন জুবায়ের নামক এক যাত্রী। তিনি বলেন, আজ যানজট থাকায় গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না। আমি ১৪শ’ টাকায় স্লিপারের টিকিট ক্রয় করেছি। ভালো কোম্পানির গাড়িগুলো ভাড়া আগের মতোই রেখেছে কিন্তু কাউন্টার ছাড়া গাড়িগুলো বাড়তি বাড়া আদায় করছে।
পোশাকশ্রমিক ঝুমুর যাবেন ফেনীতে। তিনি বলেন, আজ রাস্তায় জ্যাম থাকা গাড়ি পাচ্ছি না। অনেকক্ষণ ধরে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করেছি। পরে গাড়ি পেলেও এখনো সাইনবোর্ড এলাকা ছাড়তে পারিনি। টিকিট কাউন্টারে কর্মরত কয়েকজন স্টাফের জানান, তারা স্বাভাবিক দিনের মতোই ভাড়া আদায় করছেন। তবে যানজটের ফলে গাড়ি সংকটে রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয় শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ জুলহাস উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, দড়িকান্দি এলাকায় রড বহনের বড় একটি গাড়ি বিকল হওয়ায় যানজট সৃষ্টি হয়েছিল। এর পাশাপাশি পূজা উপলক্ষে গাড়িরও দ্বিগুণ চাপ আছে। আমরা সকাল থেকেই যানজট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছি।
কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, বৃষ্টির পাশাপাশি গাড়ির দ্বিগুণ চাপ থাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েছিল। এখন ধীরে ধীরে গাড়ি চলছে। আমাদের একাধিক টিম সড়ক অবস্থান করছে।





