প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল পদ্মা ডিপোর জ্বালানি তেলবাহী ট্যাংকলরী মালিকরা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্স অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) নিয়ম মানতে নারাজ। বিএসটিআই এর ক্যালিব্রেশন চার্ট (ক্রমাঙ্কনচিত্র) ছাড়াই তেনবাহী ট্যাংকলরি মালিকরা সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তেল সরবরাহ করছে। এতে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব।
তেল চুরি করার সুবিধা পাচ্ছেন গাড়ি মালিক ও চালকরা। ক্যালিব্রেশন চার্ট করতে বলায় ডিপোর কর্মকর্তা আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে তার প্রত্যাহার দাবিতে রোববার(২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে মানববন্ধন করেছে ট্যাংকলরি মালিক ও শ্রমিকরা। গোদনাইল পদ্মা অয়েল পিএলসি লিমিটেডের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন বক্তারা বলেন, আব্দুর রহিম পদ্মা ডিপোতে আসার পর থেকেই তার মনগড়া নিয়মে সবকিছু পরিচালনা করছেন।
বিআরটিএ’র পারমিশন অনুযায়ী চাহিদা মত তেল লোড করতে দেননা। অযথাই হয়রানী ও লাঞ্চিত করেন। তেল লোড করতে দেরি করেন। এসব করার কারণ জানতে চাইলে অসদাচরণ করেন। জানতে চাইলে ডিপোর সেকেন্ড অফিসার আব্দুর রহিম বলেন, অনেকেই বিগত ৫-৭ বছর ধরে গাড়ির ক্যালিব্রেশন চার্ট করেনি। তারা তখন ক্যালিব্রেশন চার্ট করবে তার জন্য তাদের কাছ থেকে লিখিত নিয়েছি। এবং দ্রুত ক্যালিব্রেশন চার্ট করতে বলেছি। এজন্য আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তুলেছেন।।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সরকারি নিয়ম মতে তেল বহনকারী প্রতিটি ট্যাংকলরির ক্যালিব্রেশন চার্ট তৈরি করে নিতে হয় বিএসটিআই থেকে। অথচ অনেক গাড়ির মালিক ক্যালিব্রেশন চার্ট না করে তেল বহন বা সরবরাহ করছে। অবৈধভাবে তেল বহনকারী এসব গাড়ির চালক হেলপাররা পথে বিভিন্ন চোরা কারবারীদের আস্তানায় গিয়ে চুরি করে গাড়ি থেকে এক থেকে দেড়শ লিটার তেল বিক্রি করে দিচ্ছে।
ডিপো থেকে সঠিক পরিমাণ তেল লোড করে রাস্তায় তেল বিক্রি করে দেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সরকার। তেল বুঝে নেওয়ার দায়িত্বে থাকাকর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে তেল চুরির রমরমা বাণিজ্য। ক্যালিব্রেশন চার্ট করা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন গাড়ির মালিক বলেন, ক্যালিব্রেশন চার্ট ছাড়া ট্যাংকলরি দিয়ে ডিপো থেকে তেল বের করা নিয়ম বহির্ভুত।
যাদের ক্যালিব্রেশন চার্ট নেই তারা ডিপো কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে বায়ো মিটারে তেল লোড করছে। এনিয়ে প্রায় সময় ডিপোর ভিতরে ঝামেলা হচ্ছে। যাদের ক্যালিব্রেশন চার্ট করা আছে তারা প্রতিবাদ জানালেও ডিপো কর্তৃপক্ষ শোনছেন না।





