প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মুঃ আঃ মোতালিব তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি বরগুনার তালতলীেত এক প্রসূতির সিজারিয়ান অপারেশনের সময় নবজাতকের পেট কেটে যাওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে।বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে ইসলামী হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের ছকিনা এলাকার বাসিন্দা মো. হৃদয়ের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সীমা আক্তার প্রসাব ব্যথা নিয়ে বুধবার তালতলী ইসলামী হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি হন। পরে ওই রাতে সীমা আক্তারের সিজারিয়ান অপারেশন করেন এ হাসপাতালের ডা. নুসরাত জাহান। অপারেশনের দীর্ঘসময় পর নবজাতককে স্বজনদের কাছে দেওয়া হলে তখন নবজাতকের পেট কাটা দেখতে পান স্বজনরা। কিছুক্ষণ পরে সেখানেই নবজাতকের মৃত্যু হয়।
এসময় স্বজনরা নবজাতকের মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে অস্ত্রোপাচারকারী চিকিৎসক ডা. নুসরাত জাহান ও নার্স ক্লিনিক ছেড়ে পালিয়ে যান। প্রসূতি সীমা আক্তারের মা রেবা বেগম বলেন, ‘সিজারিয়ান অপারেশনের পর শিশুটির গায়ে কাপড় পেঁচিয়ে আমার হাতে তুলে দেয়। পরে শিশুটির শরীরে রক্ত দেখতে পাই। এসময় গায়ের কাপড় খুললে পেটে ছুরির আঘাত দেখা যায়।
বিষয়টি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলে ডা. নুসরাত জাহান ও নার্সরা ক্লিনিক ছেড়ে পালিয়ে যায়।এ বিষয়ে ক্লিনিকের মালিক মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘শিশুটি শ্বাসকষ্টের কারণে মারা গেছে। তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন নেই।’তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মনিরুল ইসলাম বলেন, সিজারিয়ান অপারেশনের ৩ ঘন্টা পর নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তলব করা হয়েছে। তাদের লাইসেন্স কমপ্লিট নেই। আমরা প্রাথমিকভাবে প্রশাসনের সহায়তায় হাসপাতালটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল বলেন, ‘এবিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।





