প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ বিদেশি জাতের আনার চাষ করে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার যুগিহুদা গ্রামে আলোচনায় এসেছেন তরুণ উদ্যোক্তা সোহেল রানা আব্দুল্লাহ। তার আনার বাগান খুলে দিয়েছে নতুন স্বপ্ন ও সম্ভাবনার দুয়ার। ২০২১ সালে ইউটিউব ভিডিও দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি ভারতীয় ভাগওয়া জাতের ৯১টি আনার চারা রোপণ করেন। গাছ লাগানোর দুই বছর পর থেকেই ফুল ও ফল ধরতে শুরু করে।
বর্তমানে তার এক বিঘার বাগান ভরে গেছে লালচে-সবুজ আভা ছড়ানো টক-মিষ্টি আনারে।একেকটি গাছে ধরছে ৩০ থেকে ৮০টি পর্যন্ত ফল। এই দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরা। অনেকেই বলছেন, মহেশপুরের আনার বাগান যেন কাশ্মীরের বাগানের প্রতিচ্ছবি। স্থানীয় কৃষক আজিজুল হক বলেন, “শুরুতে আমরা ভেবেছিলাম এই মাটিতে আনার হবে না। কিন্তু এখন ফলনে ভরপুর গাছ দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়।” দর্শনার্থী কলেজছাত্র আশিকুর রহমান জানান,ফেসবুকে ছবি দেখে এসেছি।
সত্যিই মনে হচ্ছে যেন কাশ্মীরের কোনো বাগান। উদ্যোক্তা সোহেল রানা আব্দুল্লাহ বলেন,প্রথমে অনেকে নিরুৎসাহিত করেছিলেন। তবে আমি হাল ছাড়িনি। স্থানীয় বাজারে আনারের চাহিদা ভালো থাকায় আশা করছি এ মৌসুমেই দেড় থেকে দুই লাখ টাকার ফল বিক্রি করতে পারব। সামনে আরও জমি নিয়ে আনার চাষ বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে।”মহেশপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইয়াসমিন সুলতানা বলেন,আনার বাংলাদেশের আবহাওয়ায় একটি নতুন সম্ভাবনা।
আব্দুল্লাহর সাফল্য অন্য কৃষকদেরও অনুপ্রাণিত করবে।”শুরুতে সন্দেহ ও সমালোচনার মুখে পড়লেও এখন প্রশংসায় ভাসছেন এই তরুণ উদ্যোক্তা। তার আনার বাগান শুধু মহেশপুর নয়, পুরো ঝিনাইদহের কৃষি খাতে এনে দিতে পারে নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত।




