ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘ইসলাম ও শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত

0
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘ইসলাম ও শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ ‘ইসলাম সুস্থ শিল্প-সংস্কৃতির প্রতিপক্ষ নয়’হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘ইসলাম ও শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৩০ আগস্ট) বিকাল ২.৩০ মিনিটে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক বিভাগ।

অনুষ্ঠানে কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, অভিনেতা, সঙ্গীত শিল্পী, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক,আইনজীবী, সাবেক সেনা কর্মকর্তাসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত থেকে তাদের মূল্যবান মতামত তুলে করেন। সংগঠনটির ঢাকা বিভাগীয় সভাপতি মাহবুব আলম মাহফুজের সভাপতিত্বে এবং গণমাধ্যম যোগাযোগ সম্পাদক শারমিন সুলতানা চৈতির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হেযবুত তওহীদের সাহিত্য সম্পাদক কবি রিয়াদুল হাসান।

তিনি বলেন, ধর্ম কখনও শিল্প-সংস্কৃতির প্রতিপক্ষ হতে পারে না, বরং তারা একে অপরের পরিপূরক। হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এক শ্রেণির কথিত আলেমরা ঢালাওভাবে সকল শিল্প-সংস্কৃতির চর্চাকে হারাম ফতোয়া দেন। এসব ফতোয়া বাস্তবায়ন করার জন্য ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে হামলাযজ্ঞও চালানো হয়। অথচ বেআইনি হামলা ও হত্যাযজ্ঞকে আল্লাহ স্পষ্টত হারাম করেছেন। কোরান, হাদীসের উদ্ধৃতি টেনে তিনি বলেন, আল্লাহ অশ্লীলতা, নাফরমানি অর্থ আল্লাহর সুস্পষ্ট বিধানের লংঘন এবং আল্লাহর সঙ্গে শেরক করাকে হারাম করেছেন।

আরবের তৎকালীন জনপ্রিয় বাদ্যযন্ত্র দফ ও তম্বুরা বাজিয়ে সাহাবীরা গান গাইতেন। রসুলও (সা.) গান শুনতেন। রসুল (সা.) মসজিদে নববী নির্মাণের সময় সাহাবীদের সাথে রাজস্ অর্থাৎ কর্মসঙ্গীত গেয়েছেন। তিনি বলেন, আল্লাহর অবাধ্যতা, অশ্লীলতা ও মিথ্যার বিস্তার না ঘটিয়ে ছবি আঁকা, ভাস্কর্য নির্মাণ করা, নাটক-চলচ্চিত্র নির্মাণ ইসলামের দৃষ্টিতে অন্যায় নয়। বরং ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য গাওয়া গান, নাটক, শিল্প-সাহিত্য জেহাদ হিসেবে, এবাদত হিসেবে পরিগণিত হবে।

৭১’র মুক্তিযুদ্ধ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অনুপ্রেরণার অন্যতম উৎস ছিল সঙ্গীত। ২০২৪ এ ছাত্র-জনতার অভ্যূত্থানেও আমরা তা-ই দেখেছি। তেমনি যুদ্ধের সময় সাহাবীদের মনবল বৃদ্ধি করতে গণসঙ্গীত-রণসঙ্গীতও গাওয়া হতো।হেযবুত তওহীদের যুগ্ম সম্পাদক রুফায়দাহ পন্নী বলেন, হেযবুত তওহীদ প্রস্তাবিত তওহীদভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় সুস্থ শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চাকে উৎসাহিত করা হয়েছে। হেযবুত তওহীদের সাংস্কৃতিক কর্মীদের নিয়ে গড়ে তোলা “মাটি সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী”র সদস্যরা গান-কবিতা, নাটক নির্মাণসহ বহুমুখী কাজ করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি স্থাপনে জাতিকে অনুপ্রেরণা যুগিয়ে যাচ্ছে।

আরো বক্তব্য রাখেন- ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক দৈনিক ইনকিলাবের সিনিয়র প্রতিবেদক মাইনুল হাসান সোহেল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক এমদাদুল হক খান, জাতীয় কবিতা কেন্দ্রের (জাকব) সাধারণ সম্পাদক ও যুগান্তরের সিনিয়র সাংবাদিক লায়ন এড. আলতামাসুল ইসলাম আকন্দ, সাবেক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ও বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের ডিরেক্টর জেনারেল শামসুল আলম খান, সাবেক মেজর সাব্বির, কবি ও সাহিত্যিক মাহমুদুল হাসান নিজামী, জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় আইনজীবী ফোরামের সহ সভাপতি গোলাম মো. চৌধুরী আলাল, হেযবুত তওহীদের তথ্য সম্পাদক এস এম সামসুল হুদা, গণঅধিকার পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ইমরান হোসাইন, শের-এ বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মো. আকবর আলী, বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক ও ঘিওর সরকারি কলেজের প্রফেসর আমির হোসেন, ডিজিএফআই’র ইন্সপেক্টর সালাউদ্দিন, দৈনিক পর্যবেক্ষণের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও এ্যাকটিং এডিটর খালেদ মাহমুদ রকি, হেযবুত তওহীদের সাংস্কৃতিক সম্পাদক মেজবাউল ইসলাম, আন্তঃধর্মীয় যোগাযোগ সম্পাদক ইলা ইয়াসমিন প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here