আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা : প্রধান উপদেষ্টা

0
আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা : প্রধান উপদেষ্টা

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যেই ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় ১৪ দল এবং জোটের বৈঠক থেকে বের হয়ে এ কথা জানান রাজনৈতিক দলের নেতারা।

বৈঠক থেকে বের হয়ে ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়কারী ও জাতীয় পার্টি (কাজী জাফরের) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামান হায়দার বলেন, আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করতে চাই, প্রধান উপদেষ্টা ক্যাটাগরিকলি বলেছেন, আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে নির্বাচনের একটা সুনির্দিষ্ট সময়সীমা, তারিখ তিনি ঘোষণা করবেন। এর চাইতে আনন্দের বার্তা আর কিছু হতে পারে না। ‘আজকের মূল বিষয় হচ্ছে এটা।

আজকে দেশব্যাপী যে সমস্যা, নৈরাজ্য এর সমাধানে নির্বাচন একমাত্র পথ, এটা উনি (প্রধান উপদেষ্টা), ওনার বক্তব্যে সুস্পষ্ট করেছেন। উনি আশ্বাস দিয়েছেন আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে উনি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন। একই প্রসঙ্গ টেনে বৈঠক থেকে বের হয়ে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, প্রধান উপদেষ্টা আমাদেরকে জানান, আগামী অল্প কয়েকদিনের মধ্যে জুলাই সনদের সঙ্গে নির্বাচন কবে হবে এবং প্রক্রিয়া কী হবে, এ নিয়ে অফিসিয়াল ব্রিফিং করে ওনার তরফ থেকে জাতির জন্য পরিষ্কার করে জানানো হবে।

প্রধান উপদেষ্টা আজকে আমাদের সঙ্গে মিটিংয়ে বসে আমাদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছেন কয়েক দিনের মধ্যে নির্বাচনের তারিখসহ সবকিছু জাতির সামনে তুলে ধরবেন। সামনে নিরপেক্ষ নির্বাচন করার যে প্রত্যাশা সেটা আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। এ কারণে আমরা সবাই প্রধান উপদেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়েছি। এখন আমাদের প্রত্যাশা আমরা নির্বাচনের তারিখ জানবো। পুরো দেশবাসীকে নির্বাচনের জন্য তৈরি হওয়ার জন্য বলেছেন।

তিনি বলেন, আজকের আলোচনায় সাম্প্রতিক আইন শৃঙ্খলাবাহিনী নিয়ে যে অপপ্রচার হচ্ছে, এগুলো কারা কীভাবে করছে, এগুলো কীভাবে আমরা দমন করতে পারি, এগুলো নিয়ে আমাদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন, প্রধান উপদেষ্টা মূলত আমাদের কাছে বর্তমান সংকটের কথা তুলে ধরেছেন।

পাঁচ আগস্টের আগে আমরা যখন সবাই এক এবং ঐক্যবদ্ধ ছিলাম, সেটা যেন আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি সেটা বলেছেন। কোনোভাবে পরাজিত শক্তি যেন মাথাচাড়া দেওয়ার সুযোগ না পায়। বৈঠকে ১২ দলীয় জোটের মোস্তফা জামাল হায়দার ছাড়া আরো ছিলেন জাতীয় গণফ্রন্টের আমিনুল হক টিপু বিশ্বাস, ১২ দলীয় জোটের মোস্তফা জামাল হায়দার, নেজামে ইসলাম পার্টির মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ জাসদের ড. মুশতাক হোসেন, ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের ববি হাজ্জাজ, জাকের পার্টির শামীম হায়দার, ইসলামী ঐক্যজোটের মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজি, ভাসানী জনশক্তি পার্টির রফিকুল ইসলাম বাবলু, বাংলাদেশ লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাসদ- মার্কসবাদীর মাসুদ রানা ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মন্জুরুল ইসলাম আফেন্দী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here