বন্দরের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সোহেল ফের ব্যাপরোয়া

0
অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সোহেল ফের ব্যাপরোয়া

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ স্টাফ রিপোর্টার :- র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব (১০) এর হাতে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়া বহু বিতর্কিত ইউপি সদস্য সোহেল আবারো ব্যাপরোয়া হয়ে উঠেছে। ফ্যাসিবাদ আওয়ামীলীগ সরকার শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালালেও এখনো সালাম চেয়ারম্যানের পালিত এই ক্যাডার আওয়ামীলীগ নেতা পরিচয়দানকারী সোহেল প্রশাসনের অদক্ষতার সুযোগে তার মাদকের রমরমা ব্যবসা দিব্বি চালিয়ে যাচ্ছেন।

বর্তমান সময় এসেও তার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেনা। মদনপুরে আন্দিরপাড় এলাকায় মেলাকে কেন্দ্র করে যুবদল নেতা সাইফুলের উপর হামলা চালায় এই সোহেল। সমলোচিত সোহেল মিয়া বন্দরের মদনপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য, অস্ত্র ও মাদক মামলাসহ একাধিক মামলার আসামী সোহেল ওরফে ক্যাডার সোহেল বাহিনী। সোহেল তার নিজ ওয়ার্ডের আন্দিরপাড় এলাকায় ত্রাসের রাম রাজত্ব কায়েম করে চলেছে।

ক্রমান্বয়ে তারা চাঁনপুর,ছোটবাগ,দেওয়ানবাগ সহ গোটা ইউনিয়নের সর্বত্রই আধিপত্য বিস্তার করে চলেছে। প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়,সোহেল মেম্বার মদনপুর ইউনিয়নের আন্দিরপাড় এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে। সোহেলেরর বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা ও অস্ত্রসহ প্রায় ডজনখানেক মামলা রয়েছে। যারা মধ্যে মামলা নং ২৪(০১)২১ ১৪৩/ ৩২৩/ ৩২৪/ ৩২৬/ ৩০৭/ ৩৭৯/ ৫০৬,মামলা নং ৪১/৩০৪২০২১ সালের ১০ মার্চ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে,মামলা নং ০৪(০৬)২১ইং ধারা ১৪৩/ ১৪৮/ ৩২৩/ ৩০৭/ ৩৫৪/ ৩৭৯/ ৪৩৬/ ৫০৬,মামলা নং-৭০ ২৭মে ২০১৮ ধারা ১৪৩/ ৩২৩/ ৩২৪/ ৩২৬/ ৩০৭/ ৫০৬,মামলা নং ২৪, ২০২১ সালের ২৬ জানুয়ারী, ১৪৩/ ৩২৩/ ৩০৭/ ৩৫৪/ ৩৭৯/ ৪৩৬/ ৫০৬,ধারা মামলা নং ২৯ ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে,মামলা নং ৪২,৩০ আগষ্ট ২০২২ ধারা ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনে।

এছাড়া সোহেলের সঙ্গে বিভিন্ন এলাকা হতে এবং চনপাড়া এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসীরাও সোহেল এর বাড়ির ছাদে আস্তানা গড়ে তুলেছে। রাত পোহালেই চলে ফেনসিডিল ইয়াবা, গাজা সহ মাদকের ব্যাবসা। বড় বড় ব্যাবসায়ীদের টার্গেট করে নারী দিয়ে ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইলের করা হয়। সোহেলের অপকর্মের সহযোগীদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই অস্ত্র,খুন,ধর্ষণ,রাহাজানি ও মাদকসহ বন্দর থানায় প্রায় অর্ধডজন করে মামলা রয়েছে। এরা সাধারণতঃ সংঘবদ্ধ হয়েই এসব অপকর্ম করে বেড়ায়।

উত্তরাঞ্চলের এক সময়কার দোর্দন্ড প্রতাপশালী শীর্ষ সন্ত্রাসী সুরত আলী ও কামু বাহিনীর আদলেই এরা এদের বাহিনী গড়ে তুলেছে মদনপুর ইউনিয়নের কেওঢালা থেকে শুরু করে ইউনিয়নের বাস স্ট্যান্ড থেকে শুরু করে ইস্ট টাউন,,মদনপুর(উত্তর) ,মদনপুর (দক্ষিণ) কলাবাড়ী, ছোটবাগ, দেওয়ানবাগ, চাঁনপুর, পূর্ব ফুলহর, লাউসার, নেহালসরদারেরবাগ,পূর্ব কেওঢালা,পশ্চিম কেওঢালা, বাগদোবাড়ীয়া, যাত্রাভিটা, পুকুনিয়াবাড়ী, দোবাড়ীয়া,কাইনলিভীটা গ্রামেও তাদের অবাদ বিচরণ ও অপকর্ম অবধারিত রয়েছে। চুরি,ছিনতাই,চাঁদাবাজী ও মাদক ব্যবসা ২৪ ঘন্টা ননস্টপ সার্ভিসে চালিয়ে আসছে তারা।

তাদের বিশাল সন্ত্রাসী সিন্ডিকেটের ভয়ে কেউ টুশব্দ করার সাহস পায়না। মূলতঃ বাহিনী করে সোহেল নিজেকে গডফাদার হিসেবে আবির্ভূত করে চলেছেন। সোহেলের হুকুম পালণ করতে গিয়েই তার বাহিনীর সদস্যরা গোটা ইউনিয়বাসীর ঘুম হারাম করে দিয়েছে। একটি সূত্র জানায়,সোহেল বাহিনীর সদস্য নামী দামী ব্র্যান্ডে মোটরবাইকে চড়েই চলাফেরা করে। প্রশাসনের স্থানীয় পর্যায়ের কতিপয় অসাধু সদস্যের সঙ্গে এদের গভীর সখ্যতা থাকায় সোহেল বাহিনীর অপকর্ম বিনা বাধায় পরিচালিত হচ্ছে।

দীর্ঘ দিন ধরে তাদের কুকর্মের ফলে ইউনিয়নবাসী স্বাভাবিক জীবন যাপানে চরমভাবে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। ভয়ংকর সোহেল বাহিনীর ভয়াল পরিস্থিতি হতে পরিত্রাণ পেতে ভুক্তভোগী ইউনিয়নবাসী প্রশাসনের উর্দ্ধতন মহলসহ র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান র‌্যাব এর হস্তক্ষেপ কামনা করছে। একই সাথে এসব সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত সকল অবৈধ অস্ত্র-সস্ত্র উদ্ধারের অনুরোধ জানিয়েছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here