প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জের ৫টি মামলা থেকে অবশেষে অব্যাহতি পেয়েছেন দৈনিক সংবাদচর্চা পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক মো. মুন্না খান। গত ১৬ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক সম্পাদক মুন্না খানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ৫টি মামলা অব্যাহতি প্রদান করেন।
এর আগে আওয়ামী লীগের শাসনামলে সংবাদ প্রকাশের জেরে বিগত ২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি শামীম ওসমানের পরামর্শে ও সহযোগিতায় তার একনিষ্ট কর্মী হিসেবে পরিচিত ফতুল্লা থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান ফাইজুল ইসলাম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল, ছাত্রলীগ নেতা হাসনাত রহমান বিন্দু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আজিজুর রহমান আজিজ, সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি শাহরিয়া রেজা হিমেল, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রাফেল দৈনিক সংবাদচর্চার সম্পাদক মুন্না খানের বিরুদ্ধে পৃথক ভাবে একে একে ৫টি মামলা দায়ের করেন।
বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করলেও তারা তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার এবং শামীম ওসমানের পরামর্শ ও সহযোগিতায় ওই মামলাগুলো দায়ের করে ২০১৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত সম্পাদক মুন্না খানকে হেনস্থা করে গেছেন। আদালতেও তাদের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ থাকায় মামলা ঝুলে ছিলো দীর্ঘ ৫ বছর। সম্পাদক মুন্না খানের পক্ষে কোন উকিল যেনো আদালতে দাঁড়াতে না পারে সেজন্য তৎপর ছিলেন শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমানের নিয়ন্ত্রিত আইনজীবী সমিতির তৎকালিন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।
কেউ সম্পাদক মুন্না খানের পক্ষে আইনী মোকাবেলা করতে গেলে তাকে প্রকাশ্যে দেখে নেওয়ার মত হুমকিও প্রদান করতেন ওসমানদের মদদপুষ্ট আইনজীবী নেতারা। এমনকি একাধিকবার ওকালতনামা ছিড়ে ফেলে দেয়ার ঘটনাও ঘটিয়েছিল তারা। ক্ষমতার অপব্যবহার করে একাধিকবার ওয়ারেন্ট ইস্যুর মতো কর্মকাণ্ড চালিয়েছিল নির্লজ্জ ভাবে।
তবে, দেশের পটপরিবতর্নের মধ্য দিয়ে এসকল মামলার বেড়াজাল থেকে মুক্ত হন সম্পাদক মুন্না খান। তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ওসমানীয় দোসরদের প্রতিটি মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। মুন্না খান দৈনিক সংবাদচর্চার সম্পাদক ও প্রকাশকের পাশাপাশি তিনি বেসরকারী টেলিভিশন গাজী টিভিতে সাংবাদিকতার দায়িত্ব পালন করছেন।