প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি: সিদ্ধিরগঞ্জে দাফনের ৩ মাস পর কবর থেকে মো. হৃদয়ের(২৭) লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে ময়না তদদন্তের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোনাব্বর হোসেনের উপস্থিতিতে (২০ অক্টোবর) দুপুর ২ টায় মিজিমিজি পাইনাদী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ কবরস্থান থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়।
এসময় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র অন্দোলনের সময় গত ২০ জুলাই সন্ধ্যায় কপালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় হৃদয়ের। পরে পর দিন সকালে তাকে দাফন করা হয়েছিল।নিহত হৃদয় সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা থানার দুর্গাপুর গ্রামের মো. ছফেদ আলীর ছেলে। তিনি সিদ্ধিরগঞ্জের আটি হাউজিং ২ নম্বর গলির জহুর মিয়ার ভাড়ির ভাড়াটিয়া। পেশায় তিনি একজন থাই গ্লাস মিস্ত্রি।
এদিকে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর হৃদয় নিহতের ঘটনায় তার মা বাদী হয়ে ১০ জনকে এজাহার নামীয় আসামি করে ৮ আগস্ট সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমানকে। হৃদয়ের মামা হারিছ মিয়া বলেন, ২০ জুলাই রাত ৭ টার দিকে খবর পাই আমার ভাগিনা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে। তার একটি ছেলে ও একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
হীরাঝিল এলাকায় একই থাই গ্লাস দোকানে কাজ করতো। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোনাব্বর হোসেন বলেন, আদালতের নির্দেশে ময়না তদন্ত জন্য নিহতের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।