প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি: সিদ্ধিরগঞ্জে হাসনা বেগম(৩৩) নামে এক বিধবার দোকান ভাঙচুর লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ নামধারী ক্যাডারদের বিরুদ্ধে। এসময় দোকান থেকে নগদ ১১ হাজার টাকা ও প্রায় ২০ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়েছে তারা। রোববার (২০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে পাইনাদী কুয়েতপ্লাজা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে গড়ে তুলা দোকানটি দখল করতে হামলা ভাংচুর করা হয়েছে।
এ ঘটনা থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ভূক্তভোগী হাসনা বেগম নরনিংদী জেলার রায়পুর থানার চরমরজাল গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের স্ত্রী। তিনি বর্তমানে দুই মেয়ে ও ১ ছেলে সন্ত্রান নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিমপাড়া বিল্লালের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। হাসনা বেগমের অভিযোগ, দোকানটি দখল করতে বেশ কিছুদিন ধরে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে রাসেল, হাবিব ও ফয়সাল। গত ১৫ অক্টোবর রাসেল আমাকে দোকান থেকে বের করে দিয়ে তালা লাগিয়ে দেয়। পরে রোববার সকালে রাসেলের নেতৃত্বে ফয়সালসহ ৭-৮ জন এসে দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর লুটপাট করে।
তারা দোকান থেকে নগদ ১১ হাজার টাকা ও প্রায় ২০ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। আমাকে দোকানে আসতে নিষেদ করে দিয়েছে। হাসনা বেগম বলেন, আমার স্বামী একটি রিকশার গ্যারেজে কাজ করতো। তার মৃত্যর পর সন্তানদের নিয়ে মানবেতর অবস্থায় পড়ি। তখন স্থানীয় কিছু লোকজনের পরামর্শে কুয়েতপ্লাজা এলাকায় সরকারি জায়গায় একটি টং দোকান দিয়ে চা পানের দোকান দেই।
এ দোকানের আয় দিয়ে বড় মেয়ে খাদিজা আক্তার ইমাকে বিয়ে দেই। মেজ মেয়ে আমেনাকে(১৩) মিজমিজি পশ্চিমপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে পাড়াশোনা করাচ্ছি। সে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ছে। ছোট ছেলে আব্দুল করিম (৬) মিজমিজি ১০১ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। দোকানটি দখল করে নিলে সন্তানদের নিয়ে আমার পথে বসতে হবে। এবিষয়ে জানতে চাইলে মূল অভিযুক্ত রাসেল বলেন, এ মহিলা এখানে অসামাজিক কাজ করে।
এখানে এসব করতে দেওয়া হবে না। তার দোকানে তালা দেওয়ার পরও সংসুদন হয়নি। তাই দোকান ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আল মামুন বলেন, কোন মহিলার দোকান ভাংচুর লুটপাটের ঘটনা আমার জানা নেই। কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করে নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।