প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ স্টাফ রিপোর্টার: নারায়ণগঞ্জে সিটি বন্ধন পরিবহণ লিমিটেডের দখলে নিতে আবারো মরিয়া হয়ে উঠেছে পরিবহণ সন্ত্রাসী মাহাবুব উল্লাহ তপন ওরফে চাঁদাবাজ তপন বাহিনী। ৫ আগষ্ট থেকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটের বৈধ মালিকদের সমন্বয়ে নতুন করে এটি চালু হলেও তপন ও তার অনুগামীরা জোরপূর্বক তা দখলের পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে মাহাবুবউল্লাহ তপনের সিটি বন্ধনের বেশ কয়েকজন পরিবহণ মালিককে হুমকি দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় হুমকির সম্মুখীন হওয়া মালিক সন্ত্রাসী তপনের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় পৃথক পৃথক সাধারণ ডায়েরী করেছেন। মালিকদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তপন বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করছে বলে মালিকদের অনেকেই গণমাধ্যমকর্মীদেরকে জানিয়েছেন।
বর্তমানে তপন বাহিনীর অব্যাহত হুমকি-ধামকির কারণে পরিবহণ মালিকরা চরম শংকার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক পরিবহণ মালিক জানান,মাহাবুব উল্লাহ তার প্রয়াত সন্ত্রাসী মমিনউল্লাহ ডেভিডের ছোটভাই। ২০০১সালে তৎসময় বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার মমিনউল্লাহ ডেভিড তার ভাইকে জোরপূর্বক বন্ধন পরিবহণের চেয়ারম্যান করেন। এরূপ নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে দলের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখতে ২০০৪ সালে শীর্ষ সন্ত্রাসী মমিনউল্লাহ ডেভিডকে ক্রসফায়ার করে বিএনপি’র সরকার। ক্রসফায়ারে ডেভিড মারা গেলেও তার ভাই মাহাবুব উল্লাহ তপনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধ হয়নি।
তখন সে পরিবহণ থেকে নিয়মিত চাঁদা উত্তোলণসহ গোটা সেক্টরটি নিজের আয়ত্বে নিয়ে যায়। এর কয়েক বছর পরে সে চাঁদাবাজীর অভিযোগে র্যাব-১১ কর্তৃক গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘ দিন জেল হাজতে কাটায়। গ্রেফতারকালে তার বুকে আমি চাঁদাবাজ মাহাবুব উল্লাহ তপন প্লে-কার্ড সেঁটে দেয়া হয়। সে সময় বিষয়টি বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। গ্রেফতারের কিছুদিন পর জামিনে বের হয়ে কিছুদিন নিরব থাকার পর সে আওয়ামীলীগের শাসনামলে সরকারি দলের নেতাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে তখনো সে পরিবহণ সেক্টরে নিজের কতৃত্ব বজায় রাখে।
ইদানীং সরকার পতনের পর পরই তার ভাগিনা শাহাদাৎ হোসেন রানাসহ একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ নিয়ে ২২ সেপ্টেম্বর দুপুরে বন্ধন পরিবহনের বৈধ পরিচালক দাবি করে দখলে নেয়ার চেষ্টা চালায়। এ সময় তারা অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে পরিবহণ মালিক ও কর্মচারীদের উপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে শহরের দেওভোগ এলাকার কারাবন্দী বিএনপি নেতা (সাবেক ছাত্রদল নেতা) জাকির খানের লোকজন দখল দারিত্বের প্রতিবাদ করলে তপন বাহিনী তাদের সঙ্গে সংর্ঘষে লিপ্ত হয়।
এমনক তপন বাহিনীর প্রধান তপন,তার ভাগিনা রানা,হাসানসহ ৫০/৬০জনের একটি সন্ত্রাসী দল তান্ডব চালায়। সে সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন,র্যাব ও সেনাবাহিনীর একাধিক টীম এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তপন বাহিনীর ষড়যন্ত্র অব্যাহত থাকায় বর্তমানে সিটি বন্ধন পরিবহণ মালিকদের মাঝে অজানা সংশয় বিরাজ করছে। তারা তপন বাহিনীর ভয়ানক কবল থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রশাসনের উর্দ্ধতন মহলসহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আশু কার্যকরি হস্তক্ষেপ কামনা করছে।