প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি: সিদ্ধিরগঞ্জে ওয়ার্ড বিএনপি কার্যালয়ে তালা দিয়েছে হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি মাদক সম্রাট নাহিদ বাহিনী। গত সোমবার রাত ১০ টার দিকে আদমজী নতুন বাজার এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।এ ঘটনায় ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি আরসাদ গাজী বাদী হয়ে ৬ জনের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযুক্তরা হলো- নাহিদ (৩০), হাসান (৩২), রাতুল (২৩), মিজান (২৫), রাব্বী (২২) ও ইউসুফ (৩৫)।
আরসাদ গাজীর অভিযোগ, নাহিদের নেতৃত্বে অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আদমজী নতুন বাজার এলাকায় আজমেরী হোটেল সংলগ্ন নাসিক ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কার্যালয়ে এসে আমাদের আশ্লীল ভাষায় গালাগালি করতে থাকে। একপর্যায় আমাদের অফিস থেকে বের করে দিয়ে তালা লাগিয়ে দেয়। পরে রাতেই থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। বিএনপি নেতারা জানায়, নাহিদ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের আহ্বায়ক মতিউর রহমান মতির কর্মী ছিল।
সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকায় মতি তাকে তাড়িয়ে দেয়। পরে বিহারী কলোনিতে আস্তানা করে একটি বাহিনী গড়ে তুলে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যায়। বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যসহ নাহিদকে একাধিকবার গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ। মাদক মামলায় জেল হাজত বাস করে জামিনে বের হয়ে তিনি চলে যান মালয়েশিয়া। কিছু দিন পর আবার দেশে ফিরে আসলেও থাকতেন আত্মগোপনে। গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও থানা যুবলীগের আহ্বায়ক মতিউর রহমান।
এ সুযোগে নাহিদ এলাকায় এসে মতির নিয়ন্ত্রিত সকল ব্যবসা বাণিজ্য, সরকারি জায়গা দখল করে গড়ে তুলা ফুটপাত দোকানের দখল নিয়ে নেয়। এসব দোকানপাট থেকে চাঁদাবাজি শুরু করে। চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় নাহিদ নতুন বাজার এলাকা থেকে ওয়ার্ড বিএনপির অফিস সরিয়ে নিতে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছিল। তার কথা না শোনায় অফিসে তালা দেয়। হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি সন্ত্রাসী নাহিদ। তাই তার সঙ্গে বিবাদে জড়ায়নি বিএনপি নেতাকর্মীরা।
৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শরিফ বলেন, ঘটনার সময় আমি অফিসে ছিলাম না। সহ-সভাপতি আরসাদ গাজী আমাকে মোবাইল ফোনে জানায় নাহিদ দলবল নিয়ে অফিসে এসে তাদের বের করে দিয়ে তালা দিয়েছে। তখন আমি আমাদের লোকজনকে গণ্ডগোল করতে নিষেধ করে থানায় গিয়ে অভিযোগ করতে বলি। অভিযোগ বিষয়ে জানতে নাহিদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বারে একাধিকবার ফোন করেও সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।