মহেশপুরে মুজিববর্ষের ঘরে এখনও জ্বলেনি বিদ্যুতের আলো প্রচন্ড গরমে অসহায় মানুষেরা

0
মহেশপুরে মুজিববর্ষের ঘরে এখনও জ্বলেনি বিদ্যুতের আলো প্রচন্ড গরমে অসহায় মানুষেরা

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মহেশপুর(ঝিনাইদহ)সংবাদদাতাঃ এক বছর পুর্বে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বর্ষিকী উপলক্ষে এলাকার অসহায় মানুষের মাঝে জমিসহ দু’রুম বিশিষ্ট বসত ঘর নির্মান করে দেন জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অসহায় মানুষের মাঝে দেওয়া বসত ঘর গুলোতে আজও বিদ্যুতের আলো পৌছায়নি।

ফলে অসহায় মানুষ গুলো প্রচন্ড গরমের কারনে তাদের বসত ঘর ফেলে দিনে রাতে বাগানে গাছের নিচে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের স্কুল পড়ুয়া ছেলে-মেয়েরা রাতের বেলাতে বই নিয়ে বসতেও পাচ্ছে না। সে কারণে অনেক পরিবার তাদের বসত ঘর ছেড়ে গাছ তলায় আশ্রয় নিচ্ছে। ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার যুগিহুদা গ্রামের ভালাইপুর পাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বর্ষিকী উপলক্ষে এলাকার অসহায় ৯টি পরিবারের মাঝে দেওয়া ৯টি বসত ঘর গুলোতে গিয়ে ঠিক এমন চিত্র দেখা যায়।

অধিকাংশ ঘরে ঝুলছে তালা অন্যত্র চলে গেছে সে ঘরে বসবাসকারীরা। কয়েকটি পরিবার থাকলের ফাঁকা মাঠে ঘর গুলো হওয়ার কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় প্রচন্ড তাপদাহ,গরমে ঘরে থাকা দায় হয়ে পড়েছে তাদেন। অন্যদিকে রয়েছে পানি সংকট টিউবয়েল না থাকায় যেন আরেক ভোগন্তী। অসহায় মিলন মিয়া জানান, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অটো রিক্সা চালিয়ে রাতে বাড়ি ফিরি। কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকায় রাতের বেলাতে ঘর ছেড়ে বাইরে গাছ তলাতে থাকতে হয়। ছেলে-মেয়েরা বিদ্যুতের কারনে রাতের বেলাতে বই নিয়ে পড়তেও পারেনা।

তিনি আরো জানান, দিনের বেলাতে প্রচন্ড গরমের কারনে তাদের স্ত্রী সন্তানেরা বাড়ীর পাশের বাগানের গাছ তলাতেবসবাস করেন।মুজিববর্ষের ঘরে বসবাসকারী রাহেলা বেগম জানান, শেখ হাসিনা আমাদের বসত ঘর দিয়েছেন ঠিটই কিন্তু তার দেওয়া ঘরে এক বছরেও বিদ্যুতের আলো জ¦লেনি। রয়েছে পানির কষ্টও। বিদ্যুতের আলো না থাকায় আমরা রাতের বেলাতে এখানে বসবাস করতে পাচ্ছিনা। আমাদের সন্তানরাও বিদ্যুতের আলো না থাশার কারনে বই পড়তেও পাচ্ছেনা।

ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা গোলাম হায়দার নান্টু বলেন, বিদ্যুৎ,পানির ব্যবস্থা না করে কিভাবে অসহায় মানুষ গুলোকে ঘরে তুলে দেওয়া হলো। এখন তাদের জন্য জরুরী হয়ে পড়েছে বিদ্যুতের ব্যবস্থা। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মফিজুর রহমান জানান, মুজিববর্ষের ঘর শুষ্ট ভাবে করে দেওয়ার দায়ীন্তটা আমাদের। বিদ্যুৎ বা পানির ব্যবস্থা করে দেওয়ার দায়ীন্ত আমাদের না।

মুজিববর্ষের ঘরের বিদ্যুতের ব্যবস্থা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বিদ্যুৎ বিভাগকে চিঠি দিয়েছে বিদ্যুৎ দেওয়ার জন্য। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ময়জদ্দীন হামিদ জানান, বিদ্যুৎ না থাকার কারনে মুজিববর্ষের ঘরে বসবাসকারীরা প্রচন্ড গরমের মধ্যে খুবই কষ্টে তারা দিন-রাত পার করছেন।আমি কয়েকদিন ধরে মুজিববর্ষের ঘর গুলোতে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়ার জন্য পল্লী বিদ্যুতের উপ মহাব্যবস্থাপককে চিঠি দিয়েছি।

তার পরও আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি মুজিববর্ষের ঘর গুলোতে বিদ্যুতের আলো জ¦ালাতে।পল্লী বিদ্যুতের উপ পরিচালক (ডিজিএম)অভিজিৎ সাহা জানান, উপজেলা পরিষদ থেকে আমাদেরকে চিঠি দেওয়ার পর আমরা কাজ শুরু করবো। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি তিনি এরিয়ে যায়।

মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসমিন মনিরা জানান, বিষয়টি আমার যানা নেই। তার পরও আমি খোজ খবর নিয়ে দেখছি এখনও বিদ্যুতের সংযোগ কেন দেওয়া হলো না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here